স্বরূপ দত্ত, আমাদের ভারত, উত্তর দিনাজপুর, ১৬ অক্টোবর: দেশের হয়ে এশিয়ান চাম্পিয়নশিপে
দুশো মিটার প্রতিযোগীতায় একমাত্র দৌড়ানোর কথা ছিল রায়গঞ্জের আলমাস কবিরের, কিন্তু পাসপোর্টে গোলোযোগ থাকায় প্রথমবার দেশের হয়ে দৌড়ানো হল না আলমাসের।
এবছর কুয়েতে বসেছে অনুর্দ্ধ ১৮ এশিয়ান চাম্পিয়নশিপের আসর। আর সেই আসরে রিলস ও দুশো মিটার দৌড়ে সুযোগ পেয়েছিলো রায়গঞ্জের শীতগ্রাম এলাকার টিওরডাঙ্গি গ্রামের ১৭ বছর বয়সী কিশোর আলমাস কবির।স্বপ্ন দেখেছিলো দেশের হয়ে প্রথমবার মেডেল ছিনিয়ে আনার, কিন্তু পাসপোর্টে গোলোযোগ থাকায় ভঙ্গ হয়েছে আলমাসের সেই স্বপ্ন। নিয়ম অনুয়ায়ী পাসপোর্টের মেয়াদ ছয় মাস থাকা জরুরি কিন্তু পাসপোর্টে তা না থাকায় ভিসা সে পায়নি বলে জানান তিনি। আলমাস জানায়, কলকাতা অফিসে পাসপোর্টের জন্য জরুরি ভিত্তিক আবেদন করেছিল সে। পাসপোর্টও পেয়েছিল। কিন্তু ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে যে নিয়ম থাকার প্রয়োজন তা তাঁ তা জানা ছিল না। যদি বিষয়টি পাসপোর্ট অফিস থেকে গুরুত্ব সহকারে দেখা হতো তাহলে হয়তো এই অঘটনটি ঘটতো না।আজ কুয়েতে দুশো মিটার দৌড় ও রিলসের দৌড় প্রতিযোগীতা চললেও মাঠে থাকার বদলে বাড়িতে বসেই সেই খেলা দেখতে হল আলমাসকে।
১৯ সেপ্টেম্বর দুশো মিটার দৌড় প্রতিযোগীতায় রাজ্যের হয়ে জাতীয় স্তরে মেডেল জেতে আলমাস। এরপর ২১ সেপ্টম্বর তাকে দেশের হয়ে রিলস ও দৌড় দুই বিভাগে প্রতিনিধিত্ব করার কথা জানানো হয়। সেই অনুযায়ী গত ১১ অক্টোবর কুয়েত যাওয়ার জন্য দিল্লি থেকে বিমান ধরতে গেলে আলমাস দেখে তাঁর ভিসার অনুমোদন হয়নি। দেশের হয়ে প্রথমবার দেশের জার্সি পরে বিদেশের মাটিতে দৌড়ানোর কথা থসকলেও আলমাসকে শেষ পর্যন্ত ভারাক্রান্ত মন নিয়ে ফিরতে হয় বাড়িতে।আর এই ঘটনার জেরে মন খারাপ বাড়ির আত্মীয় থেকে প্রতিবেশীদের। তাঁরা জানাচ্ছেন এমন অঘটন না ঘটলে আলমাস দেশের জন্য মেডেল নিয়ে আসতো।
তবে আলমাস জানাচ্ছে সে আবারও প্রস্তুতি নেবে। আবারও দেশের হয়ে অংশ গ্রহণ করবে অন্য কোনো প্রতিযোগীতায়।