স্বরূপ দত্ত, উত্তর দিনাজপুর, ৩ মে: মাধ্যমিকে এবারেও সাফল্যের নজির গড়ল উত্তর দিনাজপুর জেলা সদর রায়গঞ্জ। পাশাপাশি, এই জেলার ইসলামপুর গালর্স হাই স্কুলের ছাত্রী অরুণিমা শিকদার এবারে মাধ্যমিকে রাজ্যে অষ্টম স্থান অধিকারকরেছে।
রায়গঞ্জ শহরের সারদা বিদ্যামন্দির বিদ্যালয়ের ছাত্র অনিন্দ্য সাহা পঞ্চম স্থান দখল করেছে। মেধাবী ছাত্র অনিন্দ্য ৬৮৯ নম্বর পেয়ে মাধ্যমিকে রাজ্যে পঞ্চম স্থান দখল করেছে। তাঁর এই সাফল্যে খুশী অনিন্দ্য ও তাঁর পরিবার।
রায়গঞ্জ শহরের পেশায় ইলেক্ট্রিক সরঞ্জাম ব্যবসায়ী অসীম সাহা এবং গৃহবধূ বর্নালী সাহার বড় ছেলে অনিন্দ্য। অনিন্দ্যর একটি ছোট ভাইও রয়েছে। ২০২০ -২১ সাল অতিমারি করোনার সময়ে একদিকে যেমন বাবা অসীম সাহার ব্যবসা নষ্ট হয়েছে তেমনি স্কুল বন্ধ থাকায় অনলাইনে পড়াশুনা করতে হয়েছে এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী অনিন্দ্যকে। অসুবিধা হলেও অধ্যাবসায় ও একাগ্রতার জেরে মাধ্যমিকে ভালো ফল করার আশা ছিল রায়গঞ্জ সুদর্শনপুরের সারদা বিদ্যামন্দির স্কুলের ছাত্র অনিন্দ্য সাহার। ৬৮০/ ৬৮২ নম্বর সে পাবে ভেবেছিল। তবে ৬৮৯ নম্বর পেয়ে রাজ্যে পঞ্চম স্থান অধিকার করে খুশী সে। এই সাফল্য সম্পূর্ণভাবে তাঁর বাবা-মায়ের অনুপ্রেরনাতেই হয়েছে বলে জানায় সে। পাশাপাশি বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অকুন্ঠ সহযোগীতা পেয়েছে সে।
আর পাঁচটা কৃতী ছাত্রভহাত্রীদের মতো ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হতে চায় না, ভবিষ্যতে অঙ্ক নিয়ে পড়াশুনা করতে চায় অনিন্দ্য। ভবিষ্যতে বিজ্ঞানী হওয়ার ইচ্ছে তার।
অপরদিকে, ইসলামপুর গালর্স হাই স্কুলের ছাত্রী অরুণিমা শিকদার এবারে মাধ্যমিকে রাজ্যে অষ্টম স্থান অধিকার করে জেলার নাম উজ্জ্বল করেছে। অরুণিমা শিকদারের প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৬। তার বাড়ি ইসলামপুরের দুর্গানগর এলাকায়। মেয়ের ভালো ফলাফলে খুশি পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি ইসলামপুরবাসী। অরুনিমার বাবা মধুসূদন শিকদার পেশায় শিক্ষক। ভবিষ্যতে সাইক্রিয়াটিস্ট হয়ে মানুষের সেবা করতে চায় বলে জানিয়েছে অরুনিমা।

