আমাদের ভারত, ১৪ ফেব্রুয়ারি:হলিউডের সিনেমা ডুমস ডে ম্যানে দেখানো হয়েছিল এক চিকিৎসক সারা পৃথিবীকে ভয় দেখাচ্ছেন, মারাত্মক ভাইরাস ছড়িয়ে মানবজাতিকে শেষ করে দেবেন তিনি। শনিবার কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে ভারতের ডুমস ডে ম্যান বলেই আক্রমণ করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। কেন্দ্রীয় সরকারের বাজেটের সমালোচনার জবাবে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতিকে নির্মলা সীতারামন এভাবেই আক্রমণ করেছেন।
সীতারামন বলেন, “কংগ্রেসের দুটি প্রবণতা আমাদের চিনতে হবে তাতে স্পষ্ট বোঝা যায়। গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সংসদীয় ব্যবস্থার উপর তাদের বিশ্বাস পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। তিনি বলেন রাহুল সম্ভবত ভারতের ধ্বংস মানব হয়ে উঠেছে। তিনি বলেন রাহুল ভিত্তি স্থাপন করলেন অথচ বাজেট আলোচনায় অংশগ্রহণ করলেন না।”
নির্মলা সীতারামন বলেন, “কারা আমাদের ঘনিষ্ঠ?দেশের সাধারণ মানুষ আমাদের ঘনিষ্ঠ।” তিনি বলেন,” ঘনিষ্ঠরা কোথায়? তারা সম্ভবত সেই দলের ছত্রছায়ায় লুকিয়েছে যাদের সাধারণ মানুষ পরিত্যাগ করেছে। ঘনিষ্ঠদের একটি বন্দরের উন্নয়ন করার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। আমি আবার বলছি আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল কোন টেন্ডার ডাকা হয়নি।”
সীতারমণের দাবি গণতন্ত্রের ওপর কংগ্রেসের আর ভরসা নেই। রাহুল গান্ধী সম্ভবত ভারতের ডুমস ডে ম্যান হয়ে উঠেছেন। কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন করে কংগ্রেস লীগের অবস্থান বদলে ফেলেছে। তার কথায় আমি জানতে চাই কংগ্রেস কেন কৃষি আইন নিয়ে ইউ টার্ন নিয়েছে। কিন্তু কেউ আমার প্রশ্নের জবাব দেয়নি।
রাহুল গান্ধীর সমালোচনা করে নির্মলা সীতারামন বলেন, প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি একটা প্রশ্নের জবাব দেননি। রাজস্থান মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্রিশগড়ে তাদের সরকার কৃষি ঋণ মুকুব কেন করেনি? তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে তো সেইরকম প্রতিশ্রুতি দেওয়া ছিল।
বাজেটের সমালোচনা করে রাহুল বলেছিলেন মোদী সরকার বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক, বীমা সংস্থা অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বেচে দিতে চাইছে। আসলে সরকার তাঁর ঘনিষ্ঠ কয়েকজন শিল্পপতিদের হাতে দেশের সম্পদ তুলে দিতে চাইছে।
এই বছরের বাজেটে বড় আকারের বিলগ্নিকরণ এর ঘোষণা করা হয়েছে। সীতারামন ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলোকে বিলগ্নীকরণ করা হবে। কেবল কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ চারটি ক্ষেত্রে সামান্য অংশীদারিত্ব থাকবে সরকারের। এর আগে আত্মনির্ভর ভারত প্যাকেজে বিলগ্নীকরণ পরিকল্পনার একটি অংশ ঘোষণা করা হয়েছিল। অর্থমন্ত্রী কথায় চারটি ক্ষেত্রে সরকারের সামান্য অংশে দায়িত্ব থাকবে। বাকি ক্ষেত্রগুলোকে পুরোপুরি বেসরকারিকরণ করা হবে। তিনি জানিয়েছিলেন স্ট্র্যাটেজিক, নন স্ট্র্যাটেজিক সেক্টরে বেসরকারিকরণের জন্য নির্দিষ্ট রোডম্যাপ তৈরি হয়েছে। এরপর ঠিক করা হবে কোন কোন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা কতটা বিলগ্নিকরন করা যায়। এটি ঠিক করবে নীতি আয়োগ।