আমাদের ভারত,৩ জানুয়ারি:জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া সহ একাধিকের সঙ্গে রাহুল গান্ধীর সমকামী সম্পর্ক রয়েছে। সোনিয়া গান্ধীর কাছে দাবি করছি রাহুল গান্ধীর ভার্জিনিটির পরীক্ষা করুন। আমরাও সাভারকারের পুর্নমূল্যায়ন করে প্রমাণ করে দেব কংগ্রেসের অভিযোগ সম্পূর্ণ অবাস্তব।’ এভাবেই সাভারকার ও নাথুরাম গডসের মধ্যে সমকামী সম্পর্ক রয়েছে বলে কংগ্রেসের তরফে যে বুকলেট প্রকাশ করা হয়েছে তার জবাব দিলেন হিন্দু মহাসভার সভাপতি স্বামী চক্রপাণি।
সম্প্রতি একটি বুকলেটে কংগ্রেস দাবি করেছে বীর সাভারকার ও নাথুরাম গডসের মধ্যে সমকামী সম্পর্ক ছিল। তার পাল্টা দিতে গিয়ে হিন্দু মহাসভা বলেছে,”এরকম কথা শোনা যায় রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধেও।” অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভা স্বামীর চক্রপাণি সংবাদ সংস্থার মুখোমুখি হয়ে বলেন, “প্রাক্তন মহাসভা সভাপতি সাভারকারের বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর অভিযোগ আনা হয়েছে। আমরা তো এটাও শুনেছি যে রাহুল গান্ধী নাকি সমকামী। পাশাপাশি সাভারকার ও গডসে কে নিয়ে কংগ্রেসের দাবিকে অবাস্তব ও হাস্যকর বলে জানিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মধ্যপ্রদেশের ভোপালে কংগ্রেসের একটি প্রশিক্ষণ শিবিরে দলের তরফে প্রকাশিত ” বীর সাভারকার কতটা বীর ছিলেন” নামাঙ্কিত একটি বুকলেট বিতরণ করা হয়। সেখানে সাভারকর ও নাথুরাম গডসের মধ্যে সমকামী সম্পর্ক ছিল বলে দাবি করা হয়েছে। একইসঙ্গে ওই পত্রিকায় রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ সম্পর্কে অন্যান্য তথ্য প্রচার করা হয়েছে। আরএসএসকে ফ্যাসিবাদী সংগঠন বলে উল্লেখ করা হয়েছ বুকলেটে।
এমনকি জীবনের নানা ঘটনা প্রশ্ন এবং বিতর্কিত প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনা হয়েছে ওই পত্রিকায়। ডমেনিক ল্যাপ ও ল্যারি কলিন্সের লেখা ফ্রিডম অ্যাট মিডনাইট বইয়ে উল্লেখিত একটি ঘটনার কথা তুলে ধরা হয়েছে বিতর্কিত পত্রিকায়। বলা হয়েছে ব্রহ্মচর্য নেওয়ার আগে নাথুরাম গডসের একটিমাত্র শারীরিক সম্পর্কের কথা উল্লেখ রয়েছে। তার সমকামী সম্পর্কে সঙ্গী ছিলেন তার রাজনৈতিক গুরু বীর সাভারকার। নাথুরাম গডসে এবং সাভারকারের মধ্যে সমকামী সম্পর্ক নিয়ে আগেও একটি বই লেখা হয়েছিল। তখন এই বিষয়ে প্রমাণ দাবী করেছিল নাথুরাম গডসের ভাই গোপাল গডসে। কিন্তু লেখক ও প্রকাশক কোন প্রমাণ দিতে না পারায় ১৯৭৬ সালে বইটি নিষিদ্ধ হয়। পরে দ্বিতীয় সংস্করণে এই সংক্রান্ত মন্তব্য বাদ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আবার এই বিষয়টি তুলে প্রচার চালানোর ফলে সাভারকার অনুগামীরা ক্ষুব্ধ হয়েছেন।
শুধু তাই নয় ঐ বইতে উল্লেখ করা হয়েছে সংখ্যালঘু মহিলাদের ধর্ষণ করার জন্য হিন্দুদের উস্কানি দিতেন সাভারকার। মাত্র ১২ বছর বয়সে তিনি একটি মসজিদে পাথর ছুড়ে ছিলেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে পত্রিকায়।
কিন্তু কংগ্রেসের এই কাজের সমালোচনা করে বিজেপির তরফে বলা হয়েছে বীর সাভারকারকে ইন্দিরা গান্ধী শ্রদ্ধা করতেন, তাইতো তার নামে স্ট্যাম্প তৈরি হয়েছে। এরপর হিন্দু মহাসভার তরফে রাহুল গান্ধীকে সমকামী বলে দাবি করা হয়।