সাথী দাস, পুরুলিয়া, ১৭ আগস্ট: মানসিক বিকারগ্রস্ত কর্নাটকের এক যুবককে ৫ মাস কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রেখে সুস্থ করে বাড়ি ফেরানোর উদ্যোগ নিল রঘুনাথপুর থানার পুলিশ। পুলিশ, স্বাস্থ্য দফতর ও ব্লক প্রশাসনের সমন্বয়ের ফলে ওই যুবক বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছেন।

মার্চের প্রথম দিকে দক্ষিণ ভারতের বছর ২৬ -এর ওই যুবককে রঘুনাথপুরে ইতস্তত ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। স্থানীয়ভাবে খবর পেয়ে ওই যুবককে রঘুনাথপুর যুব আবাসের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখে পুলিশ। সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলে। সুস্থ হয়ে উঠলে ওই যুবকের কাছ থেকে তাঁর নাম ও ঠিকানা জানা যায়। কিন্তু লকডাউন এবং যাতায়াতের সেরকম কোনও উপায় না থাকায় ওই যুব আবাসেই তাঁর অস্থায়ী ঠিকানা হয়ে যায়।

জানা যায়, ওই যুবকের বাড়ি কর্নাটকের গুলবার্গা জেলার একটি প্রত্যন্ত গ্রামে। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে তাঁর বাড়িতে যোগাযোগের ব্যবস্থা করে রঘুনাথপুর থানার পুলিশ। পুলিশ ওই যুবকের দাদা ও জামাইবাবুকে স্পেশাল ট্রেনে আসা এবং তিনজন ফেরার টিকিট কেটে দেয়। ১৫ আগস্ট ওই দুজন গুলবার্গা জেলার প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে ৩০০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে সেকেন্দ্রাবাদ থেকে রঘুনাথপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। সেকেন্দ্রাবাদ- খড়গপুর গামী ট্রেনে রওনা দেন তাঁরা। রঘুনাথপুর থানার ব্যবস্থাপনায় ওই যুবকের দাদা ও জামাইবাবুকে রাখা হয়। মঙ্গলবার, বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন তিনজনই। রঘুনাথপুর-১ ব্লকের বিডিও খড়গপুর স্টেশন পর্যন্ত যাতায়াতের ব্যবস্থা করেন। বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার আগে তিনজনই রঘুনাথপুর থানার পুলিশকে প্রশান্ত মনে এক চিলতে হাসির মাধ্যমে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। বাড়ি রওনা দেওয়ার আগে বাংলার এই আতিথিয়তাকে ভুলবেন না বলে জানিয়ে গেলেন। আর পুরুলিয়া জেলায় এই ঘটনা প্রতিষ্ঠিত করল তিন দফতরের সমন্বয়।

