স্নেহাশীষ মুখার্জি ও নীল বণিক, আমাদের ভারত, নদীয়া, ৮ মে: পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নির্দেশে সারা রাজ্য সহ নদীয়া জেলার সমস্ত থানাগুলি একযোগে পালন করলো রবীন্দ্রজয়ন্তী। জেলার প্রতিটি থানা থেকে ট্যাবলো বের করা হয়। বিভিন্ন এলাকা পরিক্রমা করে থানায় এসে শেষ হয়। কবিগুরুকে স্মরণের পাশাপাশি করোনা সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা হয়।
শান্তিপুর থানা রবীন্দ্রজয়ন্তী উপলক্ষে এক শোভাযাত্রার আয়োজন করে। থানার ওসি সুমন দাসের নেতৃত্বে এদিন কবিগুরুর এক বিশেষ ট্যাবলো নিয়ে শহর পরিক্রমা করে ট্যাবলোটি আবার শান্তিপুর থানায় ফিরে আসে।
তাহেরপুর থানার ওসি অভিজিৎ বিশ্বাসের নেতৃত্বেও আজকের এই বিশেষ দিনে রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন করা হয়। তাহেরপুর থানা থেকে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের এই বিশেষ ট্যাবলোটি তাহেরপুর পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে তাহেরপুর থানাতেই ফিরে আসে।
ছবি: আকাশ বিশ্বাস।
কৃষ্ণগঞ্জের ওসি রাজ শেখর পাল রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন করার পাশাপাশি এক শোভাযাত্রার মাধ্যমে করোনা ভাইরাস থেকে মানুষকে সচেতন করলেন।
নাকাশিপাড়া থানার ওসি রাজা সরকার রবীন্দ্রজয়ন্তীর মধ্যেই করোনা নিয়ে সতর্কতা প্রচার করেন। থানা থেকে শোভাযাত্রা পৌঁছায় স্ট্যাচু মোড়ে। তারপরে সেখান থেকে বীরপুর মোড়, কাঁঠালবেড়িয়া, গান্ধী মোড় হয়ে থানায় শেষ হয়। ওসি রাজা সরকার বলেন, সকালেই থানার অফিসাররা কবিগুরুর প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
করিমপুর থানার ওসির নেতৃত্বেও আজকে রবীন্দ্র জয়ন্তী পালিত হয়। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের বিশেষ ট্যাবলো নিয়ে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে পরিক্রমা করা হয়। গান রবীন্দ্রনাথের পাশাপাশি করোনা সম্বন্ধে মানুষকে সচেতন করা হয়। তারপর শহর পরিক্রমা করে এই বিশেষ ট্যাবলো করিমপুর থানায় ফিরে আসে।
কালীগঞ্জ থানার ওসি অনিমেষ দে’র নেতৃত্বে রবীন্দ্রজয়ন্তী উপলক্ষে বিশেষ ট্যাবলো নিয়ে শহর পরিক্রমা হয়। দেবগ্রাম, নেতাজি নগর হয়ে আবার এই ট্যাবলোটি থানায় চলে আসে। এছাড়া রবীন্দ্রজয়ন্তী উপলক্ষে আজ দেবগ্রাম থানার উদ্যোগে দেবগ্রাম ফাঁড়িতে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডিএসপি ডি এন টি কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলা এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রুরাল।