আমাদের ভারত, বর্ধমান, ১০ ফেব্রুয়ারি: তিনি আর
বিধানসভা নির্বাচনে লড়তে চান না একথা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি পাঠালেন বর্ধমান দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়। পাশাপাশি বিষয়টি তিনি তৃণমূল নেতা সুব্রত বক্সীকেও জানিয়েছেন। তার এই চিঠি ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গেছে। বিষয়টি নিয়ে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় টুইট করেছেন।
২০১১ সালে বর্ধমান দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে দাঁড়িয়ে সিপিএম নেতা নিরুপম সেনকে হারিয়ে প্রথমবারের জন্য বিধায়ক হন। সেবার তিনি মন্ত্রিত্বও পান। ২০১৬ সালের নির্বাচনে তিনি দ্বিতীয় বারের জন্য বিধায়ক নির্বাচিত হন।
এদিন ফোনে রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমি আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। যেহেতু অনেকদিন ধরে আমার বয়সের কারণে এবং স্বাস্থ্যের কারণে শরীরটা আমার ভালো যাচ্ছে না। সেই কারণে এবারের নির্বাচনে আর দাঁড়াবো না। গতকাল মুখ্যমন্ত্রী বর্ধমান এলেও আমার শরীর ভালো না থাকায় আমি সেখানে যেতে পারিনি। ২০১১ সালের নির্বাচনে আমিতো নিজে দাঁড়াইনি আমাকে ফোন করে নির্বাচনে দাঁড়ানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল। তখন আমি ঠিক করেছিলাম বর্ধমানের মানুষ এবং পশ্চিমবঙ্গে মানুষের জন্য কাজ করব সেই কাজ আমি করেছি। কিন্তু এবার যেহেতু শরীর আর দিচ্ছে না তাই আমি নির্বাচনে দাঁড়াতে চাইছি না। সেজন্যই আমি চিঠি পাঠিয়েছি।
বর্ধমান সদর জেলার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সুনীল গুপ্তা বলেন, বিজেপির দলীয় সূত্র বলা হয়েছে রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায় বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক। তিনি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মন্ত্রী ছিলেন। হঠাৎ করে তার এই সিদ্ধান্ত বুঝিয়ে দিচ্ছে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের তোলাবাজ, যারা কাটমানি খায় তাদের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারছেন না। সেইসঙ্গে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস যে ক্ষমতায় আসবে না সেটা তিনি হয়তো বুঝতে পেরে গেছেন সেই কারণেই তিনি আর তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে ভোটে লড়তে চাইছেন না।