করোনায় আক্রান্ত হাতুড়ে চিকিৎসক, তাঁর সংস্পর্শে আসা রোগীদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী

আমাদের ভারত, পূর্ব মেদিনীপুর, ১৪ এপ্রিল: নিজের অজান্তে করোণা ভাইরাসে আক্রান্ত শরীর নিয়ে রোগী দেখেছেন এক হাতুড়ে চিকিৎসক। তাই তিনি রোগীদের কাছে ক্ষমা চাইলেন ফোনে, সঙ্গে দিলেন সতর্কবার্তাও।

তমলুকের বল্লুকের এক হাতুড়ে চিকিৎসক একজন করোনা পজিটিভ রোগীর সংস্পর্শে আসেন। তার সংস্পর্শে আসায় নিজেও কোভিড ১৯ পজেটিভ হন। কিন্তু এখন তিনি চিন্তিত ও অনুতপ্ত। নিজের অজান্তেই তার সংস্পর্শে আসা অন্যান্যদের নিয়ে। তাই মোবাইলে সতর্কবার্তা পাঠাচ্ছেন এলাকার মানুষকে।

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার শহীদ মাতঙ্গিনী ব্লকের বল্লুক গ্রামের ৮০ বছরের এক বৃদ্ধ প্রচন্ড জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে দীর্ঘ দিন ভুগছিলেন। তাকে স্থানীয় এই হাতুড়ে চিকিৎক প্রথম কয়েকদিন চিকিৎসা করেন। পরে বাড়াবাড়ি হওয়ায় কলকাতার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি হন। পরবর্তীকালে দেখা যায় তিনি করোনা আক্রান্ত। এই ঘটনার পর জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে ওই হাতুড়ে চিকিৎসককে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়। পরে তার নমুনা পরীক্ষা করার পর দেখা যায় তিনিও করোনা পজেটিভ। বর্তমানে তিনি পাঁশকুড়ার বড়মা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এই অবস্থাতেও নিজের কর্তব্যে গাফিলতি করেননি তিনি। নিজের শারীরিক অবস্থা জানার পরেই নড়েচড়ে বসেন ওই হাতুড়ে চিকিৎসক। তিনি ফোন করে তার সংস্পর্শে আসা রোগীদের সতর্ক করেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই বৃদ্ধ রোগীকে দেখার পর তিনি বহু রোগী দেখেছেন। স্বভাবতই ওই হাতুড়ে চিকিৎসকের দেহ পরীক্ষার রিপোর্ট সামনে আসার পরেই আতঙ্ক ছড়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে।

তবে ফোনে ভরসা যোগান হাতুড়ে চিকিৎসক। তিনি জানান, যারা যারা গত কয়েক দিনের তার কাছে দেখাতে এসেছিল তারা যেন নিজেরাই আশা কর্মীদের কাছে আত্মপ্রকাশ করেন। কারণ এই রোগ লুকিয়ে রাখলে তা রোগীর পরিবারের ক্ষেত্রেও বিপদজনক হতে পারে। নিজের অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য এলাকার মানুষের কাছে ক্ষমাও চেয়ে নেন হাতুড়ে চিকিৎসক এবং সর্তকও করেন সবাইকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *