সাথী দাস, পুরুলিয়া, ৩০ সেপ্টেম্বর: টানা বৃষ্টিতে ভয়ঙ্কর ক্ষতির সম্মুখীন হলেন পুরুলিয়া জেলাবাসী। জেলাজুড়ে ভাঙ্গল কাঁচা বাড়ি, দেওয়াল, বাঁধ। জলমগ্ন পুরুলিয়া শহরের বিস্তীর্ণ এলাকা। ভাঙ্গল ২০০-র বেশি কাঁচা বাড়ি। নিকাশি ব্যবস্থা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। পুরুলিয়া পুরসভার ২৩, ১৮, ১৬, ১২, ৫, ৪, ৩, ২, ১ ওয়ার্ডের পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর। বাড়ির মেঝেয় জল জমে গিয়েছে। রাস্তা চলে গিয়েছে জলের তলায়। নিকাশি ব্যবস্থা আবর্জনায় বুজে যাওয়ায় এই পরিস্থিতি বলে মনে করছে পুর কর্তৃপক্ষ। গোটা পরিস্থিতির জন্য পুরসভাকেই দায়ী করেছেন পীড়িতরা।
পুরবাসীর অভিযোগ, প্রাকৃতিক দুর্যোগে পুরসভার অসহায়তা বেশি করে দেখা যায়। নিকাশি ব্যবস্থার কোনও উন্নতি তো হয়নি বরং বুজে গিয়েছে বড় নর্দমা। বসতি, কলোনী মহল্লা বহুতল আবাসন বেড়েছে কিন্তু উপযুক্ত নিকাশি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারেনি পুরসভা। পুরসভার সাফাই বিভাগের কর্মী হাজারের বেশি রয়েছে। কাজ ৫০০ জনেরও হয় না।
গত ২৪ ঘন্টায় (বুধবার সকাল ৮ টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টা পর্যন্ত) ২৪৬.৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে পুরুলিয়া শহর ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় বলে জেলা কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। জেলায় গড়ে ১৩০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয় ওই সময়ে।
প্রাকৃতিক ঝঞ্ঝা মোকাবিলায় প্রস্তুত ছিল না পুরসভা। টানা বৃষ্টির মধ্যেই অবশ্য বর্তমান প্রশাসনিক বোর্ডের চেয়ারম্যান নবেন্দু মাহালি, ভাইস চেয়ারম্যান রেবতী রমন টুডু, সদস্য মৌসুমী ঘোষ ও শঙ্কর দাস বুধবার রাত থেকেই বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন। সঙ্গে ছিলেন পুরসভার সাফাই বিভাগের কর্মীরা। বৃহস্পতিবার ভারী বৃষ্টির ফলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে জনজীবন। এদিনও পুর প্রশাসনিক বোর্ডের চেয়ারম্যান সদস্যদের সরেজমিনে দেখা গিয়েছে। কিন্তু কার্যত তাঁদেরও অসহায়তা প্রকট হয়েছে ক্ষুব্ধ পুরবাসীর কাছে।