সাথী দাস, পুরুলিয়া, ৫ মে: বাড়ি ভাড়ার নামে অনুমতি ছাড়াই চলা মেস এবার বন্ধ করতে উদ্যোগী হল পুরুলিয়া পুরসভা। বহরমপুরের মেসের সামনে ছাত্রী খুনের ঘটনায় নড়েচড়ে বসল পুরুলিয়া পুরসভা। এই সুযোগে খানিকটা রাজস্ব আদায়ের সুযোগকে কাজে লাগাতে চাইছে পুরসভা।
পুরুলিয়া শহরে ব্যাঙের ছাতার মতো যেখানে সেখানে ছাত্রাবাস, মেস গজিয়ে উঠেছে। পুরুলিয়া পুরসভার অনুমান অনুমতি ছাড়া এই মেসের সংখ্যা দু’শোর বেশি। ওই মেসে ‘কো স্টাডি’ র নামে দিন রাত যুবক যুবতী, তরুণ তরুণী অবাধে থাকছেন। টাকার জন্যে মেস মালিকরা খানিকটা চোখ কান বন্ধ রেখেই নজরদারি করেন। আবাসিকদের অতিথি হয়ে দিব্যি যাতায়াত বহিরাগতদের। পরিচয় জানার চেষ্টাও করেননি মেস মালিকরা। পুরুলিয়া পুরসভা, পুলিশ এই বিষয়ে নিজেদের অন্ধকারে রেখেছে এতদিন। বহরমপুরের ঘটনায় খানিকটা টনক নড়েছে প্রশাসনের। আজ পুরুলিয়া সদর থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে পুরুলিয়ার পুরপ্রধান এই রকম কয়েকটি মেসে অভিযান চালান। মেস মালিকদের ব্যবসার জন্য প্রয়োজনীয় ট্রেড লাইসেন্স করার জন্য বলেন পুরপ্রধান নবেন্দু মাহালি। পুলিশের পক্ষ থেকে মেস মালিকদের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। এছাড়া আইন মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়।
পুরুলিয়া শহরের নিস্তারিণী কলেজ সংলগ্ন দেশ বন্ধু রোড, গোশালা মোড়ে, জগন্নাথ কিশোর কলেজের কাছে কেতিকা এলাকায় প্রচুর মেস রয়েছে। এছাড়া শহরের প্রায় সব এলাকাতেই কম বেশি এই রকম অবৈধ মেস রয়েছে। এছাড়া রাঁচি রোড, সাহেব বাঁধের কাছে পুরসভার ট্রেড লাইসেন্স ছাড়াই মেস রয়েছে। পুরসভার হেলদোল না থাকার ফলে এই ব্যবসা গজিয়ে উঠেছে। নজরদারি না থাকায় এই মেসগুলির চাহিদাও তুঙ্গে। বাড়ির ভেতরে কী হচ্ছে প্রতিবেশীরাও খুব একটা নজর দিতে চান না।