লকডাউনের জেরে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন শান্তিপুরের কুমড়ো চাষিরা

স্নেহাশীষ মুখার্জি, আমাদের ভারত, নদিয়া, ১৫ এপ্রিল:
লকডাউন চলায় বন্ধ পরিবহন ব্যবস্থা। তার জন্য বাজারে পৌঁছাতে না পারায় ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন নদিয়ার শান্তিপুরের কুমড়ো চাষিরা। অভিযোগ, বিক্রির কোনো ব্যবস্থা না হওয়ায় মাঠের ফসল মাঠেই নষ্ট হচ্ছে।

শান্তিপুরের বিস্তীর্ণ এলাকায় চাষ হওয়া এই কুমড়ো মূলত কলকাতার পাইকারি বাজারে পাঠানো হয় বিক্রির জন্য। কিন্তু বর্তমানে ট্রেন ও পরিবহন ব্যবস্থা অচল থাকায় তা সম্ভব হচ্ছে না। কিছু চাষি কলকাতার বাজারে ফসল নিয়ে পৌঁছলেও কপালে জুটেছে পুলিশের মার। ফলে ভয়ে কলকাতা মুখো হচ্ছেন না চাষিরা। আর তার ফলে মাঠের ফসল মাঠেই নষ্ট হচ্ছে। লাভ অনেক দূর, করোনার জেরে এবার কুমড়ো চাষের খরচও উঠবে না বলে আশঙ্কায় নদিয়ার কুমড়ো চাষিরা।

শান্তিপুর থানার হিজুলী গ্রামের চাষি আলেপ মন্ডল জানান, সারা বছর এই কুমড়ো চাষ করে আমরা জীবিকা নির্বাহ করি। কিন্তু এই বছর লকডাউনের ফলে কোনও গাড়ি আসছে না, কোনও ব্যাপারী আসছে না, পুলিশ আমাদের বাইরেও যেতে দিচ্ছে না। মাল নিয়ে আমরা কোথাও বেচতে পারছি না। কোথাও আরত খোলা নেই। আমাদের মালবমাঠেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বাজারে ধার হয়ে গেছে। কি করে শোধ দেবো জানি না। আমরা এখন প্রায় অভুক্ত অবস্থায় দিন কাটাচ্ছি। যদি সরকার কোনও ব্যবস্থা না করে তাহলে আমরা খুব বিপদের সম্মুখীন হব।

কৃষক শ্যামল ঘোষ জানান, এই কুমড়ো চাষ করতে সময় লাগে ৬ মাস। আমরা ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে চাষ করেছি। লকডাউনের ফলে মার্কেট বন্ধ গাড়ি যেতে দিচ্ছে না, সব মাল পচে যাচ্ছে। আজ যদি এই মাল পড়ে পড়ে নষ্ট হয় তাহলে আমরা চাষিরা কি করে খাব? না খেয়ে মারা যাবো। সরকার যদি এর কোনও ব্যবস্থা না নেয় তাহলে আমরা এমনিতেই মারা যাবো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *