আমাদের ভারত,৩ মার্চ:পুলওয়ামা হামলা কাণ্ডে গ্রেফতার হল এক বাবা ও মেয়ে।ধৃতদের নাম তারিক আহমেদ শাহ ও তার মেয়ে বছর তেইশের ইনশা জান।
তারা ওই পুলিয়ামার বাসিন্দা। গোয়েন্দাদের দাবি মূল আত্মঘাতী জঙ্গি আদিল আহমেদ দার, শাকির মাজরে ও জৈশের সিনিয়ার কমান্ডারকে আশ্রয় দিয়েছিল এই বাবা ও মেয়ে।
২০১৯ এর ১৪ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ পুলওয়ামা হামলার আগে থেকেই ওই বাবা ও মেয়ের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখত জঙ্গিরা। রেইকি করতে এসেও জঙ্গিরা ওই বাবা মেয়ের বাড়িতে থাকতে শুরু করে। গোয়েন্দাদের কথা অনুযায়ী এক বছরেরও বেশি পুরনো এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় জইশ-ই-মহম্মদের এক জঙ্গিকে শাকিরকে। সে ছিল জঙ্গি গোষ্ঠীর চর।
সেনাবাহিনীর কনভয় আত্মঘাতী জঙ্গি আদিল আহমেদ দারকে ও মাজরেকে আশ্রয় দিয়েছিল এই বাবা ও মেয়ে। বাসির আদিল দারকে সমস্ত রকম সহায়তা করেছিল হামলায় বলে তদন্তকারীদের দাবি।
ধৃত বাবার ফার্নিচারের দোকান রয়েছে। ২০১৮ সালের মাঝামাঝি মহম্মদ ওমর ফারুক নামে এক জঙ্গির সঙ্গে তার পরিচয় হয়েছিল ওই জঙ্গির সংস্পর্শে এসে লস্কর গোষ্ঠীতে নাম লিখিয়েছিল সে। তন্তকারীদের দাবি জঙ্গিদের সর্বক্ষণের এজেন্ট হয়ে উঠেছিল সে।
এনআইএর এক উচ্চপদস্থ আধিকারিকের কথা অনুযায়ী আত্মঘাতী হামলার আগে মাজরে গাড়ি চালিয়ে আসে এবং হামলা চালানোর স্থল থেকে প্রায় ৫০০ মিটার দূরে গাড়িটি রেখে চলে যায়। হামলার পুরো পরিকল্পনার সঙ্গে মাজরে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিল।
২০১৯ সালের ১৪ ই ফেব্রুয়ারি কাশ্মীরের পুলওয়ামায় পাক মদদপুষ্ট জঙ্গিগোষ্ঠী জইশ-ই-মোহাম্মদের আত্মঘাতী হামলায় সিআরপিএফের কমপক্ষে ৪০ জন জোয়ান শহীদ হয়। গ্রেফতার হয়েছে বছর । এই বিস্ফোরণে ব্যবহার হয়েছিল ৮০ থেকে ১০০ কেজি বিস্ফোরক।