আমাদের ভারত,১৯ অক্টোবর: এবার দর্শক শূন্য পুজোর নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। রাজ্যের সমস্ত পুজো প্যান্ডেল নো এন্ট্রি জোন। প্যান্ডেল এলাকায় থাকবে ব্যারিকেড। সেখানে লেখা থাকবে নো এন্ট্রি জোন। মণ্ডপে ১৫ থেকে ২৫ জনের বেশি একসাথে ঢুকতে পারবেন না। যারা ঢুকবেন তারা হবেন তালিকাভুক্ত কমিটি মেম্বার। পুজোর ভিড় নিয়ে জনস্বার্থ মামলায় আজ সোমবার এমনটাই রায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে রাস্তায় ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে প্রশাসনকে সচেতনতামূলক প্রচার চালিয়ে যেতে হবে। বিচারপতির বেঞ্চের পরামর্শ, শহরের বাজারগুলিতে যেভাবে ভিড় হচ্ছে তার পুনরাবৃত্তি কখনোই হতে দেওয়া যায় না। ভার্চুয়াল কভারেজ করা যেতে পারে। সাধারণ দর্শক ভার্চুয়ালি পুজো মন্ডপ দেখবেন।
জনস্বার্থে সব প্যান্ডেলে নো এন্ট্রি জোন করতে হবে। এমন কি ছোট প্যান্ডেলে ৫ মিটার দূরত্ব ও বড় ক্ষেত্রের ১০ মিটার দূরত্ব রাখতে হবে। কমিটি সদস্যদের নামের তালিকা তৈরি করতে হবে। তাতে যাদের নাম থাকবে তারা ছাড়া বাইরের কেউ আসবেন না মন্ডপের ভিতরে। নামের তালিকা আগে থেকেই জমা দিয়ে দিতে হবে। রাজ্যে ৩৪ হাজার পুজো কমিটি অনুদান নিয়েছে আর এই নিয়ম সকলের জন্য কার্যকর হবে।
পুজোয় স্বাস্থ্যবিধি মানা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল রাজ্যে চিকিৎসক মহল। এরপর রাজ্যের ভিড় নিয়ন্ত্রণ নিয়ে হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা হয়। শুনানিতে জানতে চাওয়া হয় ভিড় নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনা কি? পুজোয় ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য গাইডলাইন তৈরি করতে মুখ্য ও স্বরাষ্ট্রসচিবকে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। আদালত বলে, এতে কোনও সন্দেহ নেই পর্যাপ্ত গাইডলাইন রয়েছে। এটাও ঠিক যে পুলিশ প্রশাসন তাদের সর্বোচ্চ দিয়ে গাইডলাইন পালন করবে। হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণে ৩ হাজার পুজোমণ্ডপ আছে আর ৩০ হাজার পুলিশ আছে। পুলিশ বাড়তি হলেও ৩২ হাজার হতে পারে। ফলে ট্রাফিক কন্ট্রোল, রোজকার বিভিন্ন তদন্তের কাজ করে ৩ হাজার পুজো মন্ডপ সামলানো সম্ভব নয়। পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যপরিসেবা সহ একাধিক পরিষেবা নেই তাই আমাদের কাছে উৎসব বলেই, না দেখে ছাড়া সম্ভব নয়।” এরপরই একাধিক দিক খতিয়ে দেখে দর্শক শূন্য পুজোর নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।