Modi government, Festival, মাসের শেষে পুজো, কিন্তু উৎসবের আগেই বাংলার কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের হাতে আসবে টাকা, ব্যবস্থা করেছে মোদী সরকার, জানালেন সুকান্ত মজুমদার

আমাদের ভারত, ১৬ সেপ্টেম্বর: বাঙালির সবচেয়ে বড় আবেগের দুর্গাপুজো দরজায় কড়া নাড়ছে। কিন্তু এবার তো মাসের শেষে পুজো। তাহলে কি পূজো কাটবে ফাঁকা পকেটে? না না এক্কেবারে না। বাংলার কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের কথা চিন্তা করে তাদের জন্য বড় সিদ্ধান্ত নিল মোদী সরকার। কেনাকাটা আর উৎসবের আমেজ বজায় রাখতে কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মীদের জন্য বড় পদক্ষেপ করেছে মোদী সরকার।

চলতি বছর বর্ষায় পুজো কেমন কাটবে, তা নিয়ে এমনিতেই কপালে ভাঁজ পড়েছে বাঙালির। তারমধ্যে আবার মাসের শেষে দুর্গাপুজো। কেমন ভাবে সামাল দেবে ভেবে যখন চিন্তা শুরু করেছে বাংলার কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা, তখনই তাদের মুশকিল আসান করলো মোদী সরকার। বৃষ্টির বিষয়টা এড়ানো গেলেও কেনাকাটা তো আর বন্ধ রাখা যায় না। সারা বছর বাঙালি এই উৎসবের অপেক্ষা করে। কিন্তু মাসের শেষ বলে সংশয় হয়, টাকা কোথায় পাবো? এবার সেই প্রশ্নের উত্তর থাকলো কেবলমাত্র কেন্দ্র সরকারের কর্মীদের কাছেই।

দুর্গাপুজোয় বাঙালি কেনাকাটা ও খরচের কথা মাথায় রেখেই বাংলার কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জন্য বিশেষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র সরকার। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার মঙ্গলবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোষণা করেছেন, সেপ্টেম্বর মাসের বেতন বাংলার কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা ২৬ তারিখে হাতে পেয়ে যাবেন, অর্থাৎ পুজোর আগেই হাতে আসবে বেতনের টাকা।

সুকান্তবাবু সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, দুর্গা পুজোর প্রাক্কালে পশ্চিমবঙ্গের কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের সেপ্টেম্বর মাসের বেতন দেওয়ার উদ্যোগ শুধু বাংলার কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জন্য অর্থনৈতিক শক্তি নয়, বাঙালির আবেগেরও এক অনন্য সম্মান। এটা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দূরদর্শিতার ফলশ্রুতি। তিনি অর্থ মন্ত্রকের জারি করার নোটিশও প্রকাশ করেছেন।

তাঁর কথায়, বাঙালির সর্বশ্রেষ্ঠ উৎসব, প্রাণের উৎসব, দুর্গা পুজোর আগে কেন্দ্রীয় সরকারের এই পদক্ষেপ আবারো প্রমাণ করল বাঙালির সুখে- দুখে, আনন্দে- উৎসবে কেন্দ্র সরকার আন্তরিকভাবে পাশে রয়েছে। বাংলা সংস্কৃতি, অনুভূতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে।

আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচন। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের মতে কেন্দ্রের ঐ পদক্ষেপ নির্বাচনের আগে বাঙালির মন জয় করার এক বড় কৌশল। কিন্তু কেন্দ্র সরকারের দাবি, উৎসবের মরশুমে কর্মীদের স্বস্তি দিতেই এই সিদ্ধান্ত।

কেন্দ্র সরকার ইতিমধ্যে জিএসটি সংস্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নতুন জিএসটি কার্যকর হতে চলেছে ২২ সেপ্টেম্বর থেকে। নতুন স্ল্যাব চালু হলে বহু নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমবে। তবে বিলাসবহুল পণ্য বড় গাড়ি, তামাক জাতীয় দ্রব্যের মতো বেশ কিছু জিনিসের দাম ৪০ শতাংশের স্ল্যাবে রাখা হবে ফলে তার দাম বাড়বে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *