স্নেহাশীষ মুখার্জি, আমাদের ভারত, নদওয়া, ২ জুলাই:
নদিয়া জেলার কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত শ্রীকৃষ্ণ কলেজের অতিথি অধ্যাপকদের নিয়োগপত্র দেওয়া হল। এদিন কলেজ পরিচালন সমিতির চেয়ারম্যান তথা শ্রীকৃষ্ণ কলেজের অধ্যক্ষ ড:শুকদেব ঘোষ ১১ জন অতিথি অধ্যাপক অধ্যাপিকাকে সম্প্রতি রাজ্য সরকার ঘোষিত নিয়োগপত্র দিলেন এবং অনেক অধ্যাপক দূরে থাকার জন্য এবং এই করোনার জন্য যান চলাচলের অসুবিধা থাকার কারণে ২৯ জনের নিয়োগপত্র ইমেইল মারফত পাঠিয়ে দেওয়া হবে। চাকরির স্থায়ীকরণ হওয়ায় আনন্দে উচ্ছ্বসিত শ্রীকৃষ্ণ কলেজের সমস্ত অতিথি অধ্যাপকবৃন্দ এবং কলেজ কর্তৃপক্ষ।
শ্রীকৃষ্ণ কলেজের বিভিন্ন বিভাগের ৪০ জন অতিথি অধ্যাপককে স্টেট এডেড কলেজ টিচার পদে উন্নীত করেছে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দপ্তর। সম্প্রতি সেই সংক্রান্ত চিঠিও আসে কলেজে। এদিন কলেজ থেকে সেই নতুন ৪০ জনকেই কলেজ টিচারদের নিয়োগপত্র দেওয়া হয়।
নদিয়া জেলার পশ্চিমবঙ্গ অতিথি অধ্যাপক সংগঠনের সহ-সম্পাদক তথা কলেজের ইউনিট প্রধান মৃন্ময় রায় বলেন,”আমরা গত প্রায় ৮ থেকে ১০ বছর ধরে শ্রীকৃষ্ণ কলেজে সামান্য মাসিক সান্মানিকের বিনিময়ে আমরা শিক্ষকতা করে চলেছি। আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি, আজ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন এবং দীর্ঘদিনের দাবি আজ পূরণ হল।”
অতিথি অধ্যাপকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মৃন্ময় রায়, বরুণ কুমার পাল, হাবিবুর শেখ, স্নেহধন্যা দত্ত, প্রিয়াঙ্কা শিকদার, রাহুল নাথ, অর্ণব চক্রবর্তী, অনিকেত মিত্র, অমিত কুমার মণ্ডল প্রমুখ অধ্যাপক-অধ্যাপিকা। এই দিন কলেজের অধ্যক্ষ ড: শুকদেব ঘোষ মহাশয় এবং প্রধান করণিক বিষ্ণুরঞ্জন বিশ্বাস এবং কলেজের কোষাধক্ষ্য বিশ্বজিৎ রায় মহাশয়কে আমাদের এই সাফল্যের উপহার হিসাবে ফুলের স্তবক এবং মিষ্টি দিয়ে ধন্যবাদ জানানো হয়। সাথে সাথে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শিক্ষা মন্ত্রীকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে অতিথি অধ্যাপক শিক্ষকদের পক্ষ থেকে। কলেজ পরিচালন সমিতির সভাপতি, কলেজ পরিচালন সমিতির অন্যান্য সদস্যবৃন্দ, কলেজের অধ্যক্ষ, কলেজের শিক্ষক সমিতি, সমস্ত অধ্যাপক-অধ্যাপিকা, শিক্ষাকর্মী প্রতিও শ্রীকৃষ্ণ কলেজ পরিবারের প্রতিটি
অধ্যাপক-অধ্যাপিকা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
এই প্রসঙ্গে কলেজের অধ্যক্ষ বলেন, “রাজ্য সরকারের মানবিক সিদ্ধান্তের জন্য অতিথি অধ্যাপকদের চাকরি স্থায়ী হল। কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে সরকারের পূর্বঘোষিত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হয় আজ আমরা খুশি।” অধ্যক্ষ মহাশয় বলেন, কলেজে কবে পঠন-পাঠন স্বাভাবিক হবে এবং শিক্ষাবর্ষ কবে শুরু হবে এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না, তবে এর মধ্যেও এসএসিটি অধ্যাপক-অধ্যাপিকারা অনলাইনে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াচ্ছিলেন। তারা স্থায়ী হওয়ায় আমরা দারুণ খুশি। এদিন যাবতীয় সুরক্ষা বিধি মেনে অতিথি অধ্যাপক-অধ্যাপিকাদের স্টেট এডেড কলেজ টিচার রূপে রূপান্তরিত করে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়েছে।