এগিয়ে এলেন বুদ্ধিজীবীরা! নারী নির্যাতনের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিশিষ্টদের প্রতিবাদ

আমাদের ভারত, ১৫ এপ্রিল: নারী নিগ্রহ বিরোধী নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা হাসঁখালি সহ ঘটে চলা নারী নির্যাতনের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নিম্নোক্ত বিবৃতি দিয়েছেন—

আমরা পশ্চিমবঙ্গের নাগরিক সমাজ এরাজ্যে সাম্প্রতিককালে ঘটে চলা কিছু ঘটনায় অত্যন্ত মর্মাহত ও গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। যেভাবে পরপর ধর্ষণ, গণধর্ষণ ও পরবর্তী হত্যার ঘটনা ঘটছে, বিশেষতঃ নাবালিকারা বীভৎস অত্যাচার ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন তা আমাদের আতংকিত করছে, বিবেককে দংশন করছে। ঘুরেফিরে যে প্রশ্নগুলি মনকে পীড়িত করছে তাহল, শাসকের রাজনীতি কি কেবল দুর্বৃত্তদের আশ্রয়স্থল?

এ রাজ্যে আইনের শাসন, নারীর নিরাপত্তার অধিকার, আহতের চিকিৎসার অধিকার কি অবলুপ্ত হল? আরও বেশি পীড়িত করছে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান হিসাবে মুখ্যমন্ত্রীর ঘটনা পরবর্তী প্রতিক্রিয়া, ধর্ষিতা বিদ্যালয় ছাত্রীর অপমৃত্যুকে “ছোট ঘটনা” হিসাবে বর্ণনা, ধর্ষিতার ‘চরিত্র দোষ’ অন্বেষণ প্রভৃতির মাধ্যমে এরাজ্যকে তিনি কোন পথে চালিত করছেন?

হাঁসখালির নাবালিকা ধর্ষণ, চিকিৎসার সুযোগ না পেয়ে যন্ত্রণাময় মৃত্যু এবং প্রমাণ লোপের উদ্দেশ্যে তার বাবাকে প্রাণের ভয় দেখিয়ে জোর করে শবদেহ দাহ করার ঘটনা, থানায় অভিযোগ করতে না দেওয়া- একি আমাদের পশ্চিমবঙ্গ? হাথরসের যে ঘটনায় সারা দেশ শিউরে উঠেছিল, এ যেন তারই পুনরাবৃত্তি! সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়ায় আমরা বাকরুদ্ধ।

আমাদের দাবী হাঁসখালির ঘটনার তদন্তে রাজ্য পুলিশ সি বি আই কে যথাযথ সাহায্য করুক এবং অন্যান্য ঘটনাগুলির নিরপেক্ষ ও দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করার ব্যবস্থা করুক।

আমরা দেখেছি কামদুনি পার্কস্ট্রীট থেকে কুশমান্ডি কোথাও দোষীদের চূড়ান্ত শাস্তি হয়নি।

আমাদের আরও দাবী নারীর নিরাপ্ততা সুনিশ্চিত করতে রাজ্য সরকার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করুক। আমরা চাই নারীনিগ্রহহীন বাংলা।

স্বাক্ষর করেছেন— অপর্ণা সেন (চিত্র পরিচালক),
ডাঃ বিনায়ক সেন (সমাজকর্মী),
বিভাস চক্রবর্তী (নাট্যব্যক্তিত্ব),
কৌশিক সেন (নাট্যব্যক্তিত্ব),
মীরাতুন নাহার (সমাজকর্মী),
পার্থসারথি সেনগুপ্ত (আইনজীবী),
ডাঃ সুশ্রুত বন্দোপাধ্যায়,
শতরূপা সান্যাল (চিত্র পরিচালক), অধ্যাপক পবিত্রকুমার গুপ্ত,
দিলীপ চক্রবর্তী,
ডাঃ ডি পি চক্রবর্তী,
সূর্যবিকাশ চক্রবর্তী (প্রাক্তন ফুটবলার), অধ্যাপিকা চৈতালী দত্ত (মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি),
কুন্তলা ঘোষ দস্তিদার (ক্রীড়াবিদ),
অনীতা রায় ( ক্রীড়াবিদ),
ডাঃ অশোক সামন্ত,
ডাঃ সুভাষ দাশগুপ্ত,
ডাঃ শাহাজাহান হালদার,
ডাঃ তরুণ মন্ডল (প্রাক্তন সাংসদ), অধ্যাপক তরুণকান্তি নস্কর (প্রাক্তন বিধায়ক),
ডাঃ নূপুর ব্যানার্জী,
ডাঃ মৃদুল সরকার,
ডাঃ বিপ্লব চন্দ্র,
ডাঃ দেবাশীষ দত্ত,
ডাঃ অংশুমান মিত্র,
প্রাণতোষ বন্দ্যোপাধ্যায়,
ড: অর্চণা ব্যানার্জী,
অধ্যাপক অভিজিত রায়,
সুমিতা সামন্ত,
অধ্যাপক তরুণ দাস,
অধ্যাপক শানওয়াজ,
অধ্যাপক মানস জানা,
অধ্যাপিকা শান্তা দত্ত,
অধ্যাপক কে এল খালেদ,
অধ্যাপিকা শাশ্বতী ঘোষ,
অধ্যাপক অলোক চট্টোপাধ্যায়,
অধ্যাপিকা সুস্মিতা ঘোষ,
অধ্যাপিকা প্রিয়াঙ্কা সেনগুপ্ত,
ডাঃ জে কে দে,
সাগ্নিক দে,
কল্পনা দত্ত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *