পার্থ খাঁড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১২ মে: খড়গপুরের পুরপ্রধানের সঙ্গে যুব তৃণমূলের সভাপতি বিরোধ চরমে উঠলো। তাঁকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে পুরসভা থেকে বের করে দেওয়া হবে হবে বলে হুমকি দিয়েছিলেন পুরপ্রধান। এই অভিযোগে পুরসভার গেটে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখান যুব তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকরা। পরে তারা খড়গপুর-কেশিয়াড়ি রাজ্য সরকার অবরোধ করেন।
খড়গপুর শহরের যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সনু সিং কয়েক বছর ধরে খড়গপুর পৌরসভার অ্যাকাউন্ট বিভাগে ঠিকা কর্মী চাকরি করেন। হটাৎ তাঁকে খড়গপুর পৌরসভার পুরপ্রধান কল্যাণী ঘোষ পৌরসভার একাউন্ট বিভাগ থেকে সরিয়ে অন্য বিভাগে যাওয়ার কথা বলেন বলেন। কিন্তু সনু সিং অন্য বিভাগে যেতে অস্বীকার করেন। অস্বীকারের পরেই পৌরসভার পুরপ্রধান এবং যুব নেতার মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। যুব নেতাকে সিকিউরিটি দিয়ে ঘাড় ধাক্কা মেরে পৌরসভা থেকে বের করে দেবেন বলে অভিযোগ জানিয়েছেন খড়গপুর শহরের যুব সভাপতি তথা খড়গপুর পৌরসভার কন্ট্রাকচুয়াল কর্মী সনু সিং।
তারপরেই যুব তৃণমূলের একাধিক কর্মী সমর্থকরা খড়গপুর পৌরসভার গেটে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখায় এবং খড়গপুর- কেশিয়াড়ি রাজ্য সড়ক অবরোধ করে। তাদের দাবি, পুরপ্রধানকে ক্ষমা চাইতে হবে পুরপ্রধানকে। এই ঘটনার খবর পেয়ে প্রাক্তন পুরপ্রধান প্রদীপ সরকার ও জহর পাল ঘটনাস্থলে এসে তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের থামানোর চেষ্টা করেন। যুবনেতা সনু সিং তাদের সরিয়ে দিয়ে পৌরসভার গেটের ভেতরে ঢুকে উপ পুরপ্রধান কে সামনে দেখতে পেয়ে বিজেপির দালাল বলেও আখ্যা দেন। সনু সিং এর অভিযোগ, আজ আমাকে পৌরসভার এক বিভাগ থেকে অন্য বিভাগে সরিয়ে দেওয়ার কথা বলে। আমি না মানায় আমাকে সিকিউরিটি দিয়ে ঘাড় ধাক্কা মেরে বের করার কথা বলেন খড়গপুর পুরসভার পুরপ্রধান কল্যাণী ঘোষ।
তৃণমূলের যুবনেত্রী প্রিয়াঙ্কা শী এর অভিযোগ, শুধু শুধু সোনু সিং নয় অন্যান্য মহিলাদের কাজ করিয়ে তাদের টাকা দিচ্ছে না পুরপ্রধান কল্যাণী ঘোষ। এরই প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ করেছি।