পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৮ এপ্রিল: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল ও দাসপুর ব্লকের মধ্যে সংযোগকারী শিলাবতী নদীর উপর সাহেবঘাটে অবিলম্বে কংক্রিটের ব্রিজ নির্মাণ করার দাবি। যতদিন তা না হচ্ছে সরকারি উদ্যোগে নিরাপদে ও বিনামূল্যে পারাপারের বন্দোবস্ত সহ সংযোগকারি রাস্তা পাকা করা এবং ওই জায়গায় কাঠের সেতুর বর্তমান মালিকদের পক্ষ থেকে বাৎসরিক টোল ট্যাক্স আদায়ের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে আজ ঘাটাল বিডিও অফিসে এলাকার কয়েকশো ভুক্তভোগী মানুষ বিক্ষোভ দেখায়। বিডিও অফিস চত্বরে প্রায় দেড় ঘন্টা পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান তারা। অবশেষে পঞ্চায়েত সমিতির সহকারি সভাপতি, কমিটির দাবিগুলি সম্পর্কে তাঁর বক্তব্য জনসমক্ষে তুলে ধরলে বিক্ষোভকারীরা পথ অবরোধ তুলে নেয়। তাতে নেতৃত্ব দেন কমিটির উপদেষ্টা নারায়ণ চন্দ্র নায়ক, সভাপতি ডাঃ বিকাশ চন্দ্র হাজরা, কমিটির যুগ্ম সম্পাদক কানাই লাল পাখিরা, ঝাড়েশ্বর মাজি প্রমুখ। বিক্ষোভকারীরা বিডিও সঞ্জীব দাসকে স্মারকলিপিও দেন। প্রতিনিধি দলে ছিলেন কমিটির উপদেষ্টা নারায়ণ চন্দ্র নায়ক, সহ-সভাপতি অধ্যাপক হিমাংশু হাজরা, যুগ্ম সম্পাদক কানাইলাল পাখিরা প্রমুখ।

নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন, সাহেবঘাটের ওই স্থানে কংক্রিটের ব্রিজ ও সংযোগকারী পাকা রাস্তা হলে ঘাটাল মহকুমার রাজনগর, দেওয়ানচক-১, ২ ও অজবনগর-১ প্রভৃতি অঞ্চলের প্রায় ৫০টি গ্রামের কয়েক হাজার ছাত্রছাত্রী সহ মানুষজন উপকৃত হবেন। পড়াশোনা, চিকিৎসা, ব্যবসা, হাট বাজার, অফিস আদালত সহ নিত্য নৈমিত্তিক প্রয়োজনে মহকুমা শহর ঘাটাল ও পাঁশকুড়ার সাথে যোগাযোগ সুগম হবে। সম্প্রতি ওই দাবিতে রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক ও পূর্তমন্ত্রী পুলক রায়কে ডেপুটেশন ও মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।
কানাই লাল পাখিরা অভিযোগ করে বলেন, শীলাবতীর সাহেবঘাটে সেচ দপ্তর প্রায় দশ বছর পূর্বে মাটি পরীক্ষা করলেও আজও সেই স্থানে কংক্রিটের ব্রিজ নির্মিত হয়নি। অন্যদিকে গত ২০১৪ সাল থেকে ওই স্থানে স্থানীয় কয়েকজন একটি কাঠের সেতু করে পঞ্চায়েত সমিতিকে সামান্য অর্থ দিয়ে টোল ট্যাক্স আদায় করছে। ওই কমিটির টোল ট্যাক্স আদায়ের মেয়াদ জুলাই মাসে শেষ হবে। অথচ ওই ব্রিজের মালিকরা বাৎসরিক টোল ট্যাক্স আদায়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

