ঘুচবে সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ, আধারের মতো প্রপার্টি কার্ড চালু করল মোদী সরকার

আমাদের ভারত,১১ অক্টোবর:আত্মনির্ভর ভারত গড়ার ডাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আর সেই জন্যই দেশের প্রতিটি গ্রামকে স্বনির্ভর করে তুলতেও অঙ্গীকারবদ্ধ তিনি। সেই প্রতিশ্রুতিকে বাস্তবায়িত করতেই এবার স্বামীত্ব যোজনা সূচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী। প্রপার্টি কার্ড চালু করলেন তিনি। আধারের মতই এই কার্ডটি চালু করলেন মোদী। এই কার্ডটি চালু হলে গ্রামের কোন মানুষ সম্পত্তি বা জমির মালিকানা থেকে বঞ্চিত হবেন না বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। গ্রামের সম্পত্তির ভাগাভাগি নিয়ে বিবাদও ঘুচে যাবে এই কার্ড চালু হলে।

সরকার জানিয়েছে গ্রামে গ্রামে সম্পত্তির ভাগাভাগি নিয়ে বিবাদ আর থাকবে না এই কার্ড চালু হলে। মোট ৬ টি রাজ্যের ৭৬৩ টি গ্রামের মানুষ আপাতত এই কার্ড হাতে পাবেন। উত্তরপ্রদেশে ৩৪৬, হরিয়ানার ২২১,মহারাষ্ট্রের ১০০ মধ্যপ্রদেশের ৪৪,উত্তরাখণ্ডের ৫০ এবং কর্নাটকের ২টি গ্রামের মানুষ এই কার্ড পাবেন আপাতত।

সরকার জানিয়েছে ২০২৪ সালের মধ্যে প্রপার্টি কার্ড দেশের প্রায় সাড়ে ৬ লক্ষ গ্রামের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। আজ ভার্চুয়ালি এই কার্ড চালু করেন প্রধানমন্ত্রী। তারপরই ৭৬৩ গ্রামের অন্তত ১ লাখ মানুষের মোবাইলে এসএমএস পৌঁছে যায়। সেই লিঙ্কে ক্লিক করে তারা প্রপার্টি কার্ড ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।

তবে আপাতত মহারাষ্ট্রের ১০০ টি গ্রামের মানুষকে কয়েকদিন অপেক্ষা করতে হবে। মহারাষ্ট্র সরকার প্রপার্টি কার্ডের জন্য নামমাত্র ফি নেবে। দিন পনেরোর মধ্যে মহারাষ্ট্রের গ্রামের মানুষ প্রপার্টি কার্ড পেয়ে যাবেন।

২৪ এপ্রিল জাতীয় পঞ্চায়েতি রাজ বিবৃত যোজনা প্রকল্প ঘোষণা করেছিলেন মোদী। সেদিনই প্রপার্টি কার্ডের কথা জানানো হয়। তারপরই ছটি রাজ্য সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার সঙ্গে চুক্তি সই করে। এই কার্ড থাকলে গ্রামের মানুষ অনেক সুবিধা পাবে বলে দাবি করেছে কেন্দ্র। ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে অথবা সম্পত্তি বন্ধক রেখে লোন নেওয়ার ক্ষেত্রেও সুবিধা পাবেন গ্রামের মানুষ। সম্পত্তি বিক্রির সময় ঝক্কি পোহাতে হবে না। ৬টি রাজ্যে আপাতত যে প্রপার্টি কার্ড দেওয়া হবে সেগুলি পরস্পর থেকে আলাদা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *