জে মাহাতো, আমাদের ভারত, দিঘা, ৬ জুলাই: দিঘার গভীর সমুদ্র থেকে সবে উঠতে শুরু করেছিল ইলিশ। কিন্তু বাধ সাধছে নিম্নচাপ। লকডাউন এবং ইলিশের প্রজনন কালীন সময়ের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে দিন ছয়েক আগে একশটির মত ট্রলার নিয়ে সমুদ্রে ইলিশের খোঁজে গিয়েছেন মৎস্যজীবীরা। তাদের হাত ধরে এ পর্যন্ত মাত্র ছয়শ কেজির মতো মাঝারি সাইজের ইলিশ উঠে এসেছে দিঘার বাজারে। ফলে দিঘার বাজারে ইলিশের চাহিদা পূরণ করতে সুযোগ নিয়েছেন ডায়মন্ড হারবারের ব্যবসায়ীরা। সেখান থেকে সাড়ে তিনশো, চারশো গ্রামের ইলিশ আসছে দিঘায়।
কাঁথির ভারপ্রাপ্ত মৎস্য আধিকারিক সুরজিৎ বাগ বলেন, ডায়মন্ডহারবারে অসংখ্য খড়ি সমুদ্রে মিশেছে। সেই সমস্ত খড়িতে ছোট ইলিশের ভিড় বেশি হয়। কিন্তু দিঘার মৎস্যজীবীদের সরাসরি সমুদ্র থেকে ইলিশ তুলে আনতে হয়। সমুদ্রের গভীরতায় বড় ইলিশের প্রাধান্য বেশি। তিনি জানিয়েছেন, গভীর সমুদ্রে এখনো পর্যন্ত ভালো পরিমাণে বড় সাইজের ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু তাতে বাধ সাধছে বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত হতে চলা নিম্নচাপ। এর ফলে দক্ষিণবঙ্গ ও উপকূলবর্তী এলাকায় আগামী দুদিন ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
দিঘার মৎস্যজীবী সংগঠনের সম্পাদক শ্যামসুন্দর দাস জানিয়েছেন, খারাপ আবহাওয়ার কারণে যে সমস্ত ট্রলার সমুদ্রে গিয়েছে সেগুলোকে ফিরে আসতে বলা হয়েছে। এই সময় প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ার সম্ভাবনা থাকলেও সরকারি নিষেধাজ্ঞা মেনে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, অন্ধ্রপ্রদেশের উত্তর এবং ওড়িশার দক্ষিণ উপকূলবর্তী এলাকায় ঘূর্ণাবর্ত সৃষ্টি হয়ে তা গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এর ফলে আগামী দুদিন বর্ষণের তীব্রতা বাড়বে। মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে ও তার সঙ্গে যুক্ত হওয়া ঘূর্ণাবর্তের শক্তির ফলে ভারী বৃষ্টিপাত হবে। সেই সঙ্গে উত্তাল হয়ে উঠবে সমুদ্র। এজন্য মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।