আমাদের ভারত, ব্যারাকপুর, ২৪ ডিসেম্বর: শ্রীগুরু ভোলানন্দ আশ্রম বারাকপুরে ব্রহ্মলীন সন্ন্যাসী স্বামী ভাবাত্মানন্দজী মহারাজের স্মরণ সভা এবং ষোড়শী ভাণ্ডারা অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে উপস্থিত থেকে ‘শিক্ষাবিদ ও কর্মযোগী সন্ন্যাসী ভাবাত্মানন্দজী’ শীর্ষক একটি মনোজ্ঞ বক্তব্য উপস্থাপন করেন বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড: কল্যাণ চক্রবর্তী।
মহারাজ ছিলেন ভোলানন্দ আশ্রমের দ্বিতীয় অধ্যক্ষ। ড: চক্রবর্তীর বক্তব্যে উঠে আসে বিগত শতকের দ্বিতীয়ার্ধে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে শিক্ষাবিস্তারের এক হারিয়ে যাওয়া ইতিহাসের সূত্র। উঠে আসে ভাবাত্মানন্দজীর পরমারাধ্য গুরুদেব স্বামী জ্যোতির্ময়ানন্দজী মহারাজের অসাধারণ ভূমিকা। গুরু-শিষ্য পারম্পর্যে কীভাবে গড়ে তুলেছিলেন বিবিধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং কীভাবে তা সচল রেখেছিলেন, তার একটি অধ্যায়। তৈরি হয়েছিল মহাদেবানন্দ কলেজ, একটি ইংলিশ মিডিয়াম সহ তিনটি স্কুল, একটি কারিগরি বিদ্যালয়, একটি ব্যবস্থাপনা শিক্ষার মহাবিদ্যালয় এবং অনাথাশ্রম — তার কথা।
কীভাবে গড়ে উঠেছিল দু’টি বৃদ্ধাশ্রম। মহারাজের স্মরণসভায় অধ্যাপক চক্রবর্তী তাঁকে একজন ‘কর্মযোগী সন্ন্যাসী’ বলে অভিহিত করেন। মহারাজের দৃঢ় মত — কর্মের দ্বারাই ধর্মের মধ্যে এগিয়ে যেতে হবে এবং এই কর্মে আবশ্যিক বিষয় হবে শিক্ষা বিস্তার তথা বিদ্যাগার প্রতিষ্ঠা। সভায় উপস্থিত অসংখ্য সাধুসন্ত ও ভক্তমণ্ডলীর কাছে অধ্যাপক চক্রবর্তী ব্রহ্মলীন মহারাজের পুণ্য জীবনী পরিবেশন করেন।

