পিন্টু কুন্ডু, বালুরঘাট, ১৮ আগস্ট: বালুরঘাট কেন্দ্রীয় সংশোধানাগারে বিচারাধীন এক বন্দির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য। মঙ্গলবার বন্দিদের ওয়ার্ডের ভেতরে এমন ঘটনায় রীতিমতো উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ওই বন্দির নাম লক্ষ্মীরাম হেমব্রম। কুমারগঞ্জের সাফানগরের বাসিন্দা লক্ষ্মীরাম হেমব্রমের বিরুদ্ধে তার নিজের মা’কে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ রয়েছে।
জানাগেছে, চলতি বছরের ১২ এপ্রিল লক্ষ্মীরাম তার মাকে খুন করে আত্রেয়ী নদীতে ফেলে দেয়। যদিও পরে সে নিজেই পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে। পুলিশ ১৩ এপ্রিল তাকে বালুরঘাট জেলা আদালতে তুললে বিচারপতি জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়। এরপর থেকে সে জেলেই ছিল। মঙ্গলবার ভোরে ওয়ার্ডের শৌচাগারে তার ঝুলন্ত মৃত দেহ দেখতে পান অনান্য বন্দিরা। ঘটনার খবর পেয়েই কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে ছুটে যান জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা। এরপরেই মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে।
তবে জেলা সংশোধনাগারের ভিতরে সকলের নজর এড়িয়ে ওই বিচারাধীন বন্দি কিভাবে এবং কেন আত্মহত্যা করল তা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছেন জেলা সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ। যদিও এ ব্যাপারে সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুলতে চাননি সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ।
মৃতের দাদা জয়রাম হেমব্রম জানিয়েছেন, এদিন সকালে পুলিশ তার বাড়িতে গিয়ে ভাইয়ের আত্মহত্যার খবর দেয়। আর সেইজন্যই জেলে ছুটে এসেছেন।
ডিএসপি সদর ধীমান মিত্র জানিয়েছেন, ময়না তদন্তের পরেই মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা সম্ভবপর হবে।