সাথী দাস, পুরুলিয়া, ১৪ জুলাই: সাঁতুড়ি ব্লকের মুরাডি এসআরবিপি উচ্চ বিদ্যালয়ের গণনা কেন্দ্রের একাধিক জায়গায় পড়ে রয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতীকে ভোট দেওয়া ব্যালট পেপার। বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় বাসিন্দাদের বিষয়টি নজরে এলে চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। বিরোধীদের অভিযোগ, শাসক দলের কারচুপির কারণেই এই ব্লকে গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের আসনে তৃণমূল কংগ্রেস জয়লাভ করেছে।

স্থানীয় বাসিন্দা তথা সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য রাজেশ বাউরি বলেন, “এটা পরিষ্কার যে আমাদের ভোট দেওয়া ব্যালটগুলি ফেলে দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলকে জেতাতে এই কাজ করা হয়েছে। আধিকারিকদের দায় দায়িত্ব নিয়েই তো বড় প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। আমরা আদালতের দ্বারস্থ হব এটা নিয়ে।”
তৃণমূল জেলা সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া বলেন, “গণনার পর ভুলবশত কিছু ব্যালট পেপার পড়ে ছিল। সেটা নিয়েই রাজনীতি করছে বিরোধীরা। আসলে বিরোধীদের পায়ের তলায় মাটি নেই, তাই এমনটা করছে।”

খবর ছড়িয়ে পড়তেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। বিরোধী দলগুলোর কর্মী সমর্থকরা নেতাদের সঙ্গে বিক্ষোভ দেখান বিডিও অফিসের কাছে।
সাঁতুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির মোট আসন ১৭। তৃণমূল সমস্ত আসনে জয় লাভ করেছে। কার্যত বিরোধী শূণ্য। গ্রাম পঞ্চায়েত ৬ টি। সব পঞ্চায়েতই তৃণমূল বিরোধী শূণ্য। জেলা পরিষদের ২ টি আসনেই তৃণমূল কংগ্রেস জয়লাভ করেছে।

এদিকে, ভোট পর্ব ও ভোটের ফলাফল নিয়ে সিবিআই তদন্তের দাবি জানাতে উদ্যোগী হল পুরুলিয়া জেলা বিজেপি। আজ এই নিয়ে কলকাতা উচ্চ আদালতে গেল পদ্ম শিবির। সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো ও জেলা সভাপতি বিবেক রাঙা রওনা দিলেন কলকাতার উদ্দেশ্যে। তাঁদের অভিযোগ, “গোটা ভোট পর্বে অনৈতিক কাজ করেছে তৃণমূল। নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করেছে। এর উপযুক্ত তদন্ত হলেই পরিষ্কার হয়ে যাবে। তার জন্য আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছি। সেখানে সিবিআই তদন্তের জন্য আবেদন জানাবো আমরা।”

