আমাদের ভারত, ২৫ জানুয়ারি: কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় প্রধানমন্ত্রীর “নমো নব মতদাতা সম্মেলন” এর সরাসরি সম্প্রচার বন্ধ করে দিল রাজ্যের পুলিশ। বিজেপির এই কর্মসূচিতে এসে এলইডি স্ক্রিন খুলে দেয় পুলিশ। কলকাতার একাধিক জায়গা ও হুগলি থেকে এই ধরনের ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। পুলিশের এই বাধার প্রতিবাদে বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। যদিও পুলিশের দাবি, অনুমতি না থাকায় তারা কর্মসূচি বন্ধ করতে বলেছেন।
বৃহস্পতিবার দেশের নতুন ভোটারদের তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে অবহিত করতে, “নমো নব মতদাতা” সম্মেলনের আয়োজন করেছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দেশজুড়ে জায়েন্ট স্ক্রিনে তা দেখানোর ব্যবস্থা করেছিল ভারতীয় জনতা যুব মোর্চা। কিন্তু আজ সেই কর্মসূচি শুরু হতেই শ্যামবাজারে এসে পৌঁছায় পুলিশ। সংগঠনের কর্মীদের জানানো হয় কর্মসূচির অনুমতি নেই, অতএব তা বন্ধ করতে বলেন, কিন্তু লাইফ স্ট্রিমিং বন্ধ করতে রাজি হননি বিজেপি নেতারা। এরপর পুলিশ আধিকারিকরাই জায়েন্ট স্ক্রিনের প্ল্যাগ খুলে দেন। পুলিশি বাধার প্রতিবাদে তীব্র বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি কর্মীরা। তারা দাবি করেন, আদালতের ভর্ৎসনার হাত থেকে বাঁচতে এখন নতুন ফন্দি করেছে পুলিশ। বিজেপির কর্মসূচিতে প্রথমে অনুমতি দিয়ে দেওয়া হচ্ছে আর শেষ মুহূর্তে প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে, যাতে সেই অনুমতি বাতিলের বিষয় নিয়ে আদালতে যাওয়ার সময় না থাকে।
এই একই ঘটনা ঘটে চুঁচুড়াতেও। সেখানেও পুলিশি বাধার মুখে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি কর্মীরা। ব্যান্ডেল স্টেশনে প্রধানমন্ত্রীর বার্তা সম্প্রচারে পুলিশি বাধা দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে হাজির হন চুঁচূড়া থানার আইসি। অনুমতি নিয়ে রেলের জায়গায় সম্প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল বলে দাবি যুব মোর্চার। সেই কর্মসূচি কিভাবে আটকাতে পারে পুলিশ? প্রশ্ন বিজেপির। ব্যান্ডেল স্টেশনে যাওয়ার রাস্তায় বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখান তারা।
বিজেপির দাবি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জনপ্রিয়তায় ভয় পেয়ে দলদাস পুলিশকে কাজে লাগিয়ে বিজেপির কর্মসূচি বানচাল করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু এসব করে কোনো লাভ হবে না।
বিজেপি-র পশ্চিমবঙ্গের সহ পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য এক্স হ্যাণ্ডেলে পুলিশের এই পদক্ষেপের সমালোচনা করে লিখেছেন, “পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ, মমতা ব্যানার্জির নির্দেশে, বৈধ অনুমতি থাকা সত্ত্বেও, জাতীয় ভোটার দিবস উপলক্ষে, প্রথমবারের মতো ভোটারদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী মোদীর ভাষণ স্ক্রিনিং বন্ধ করে দিয়েছে। গণতন্ত্রকে গলা টিপে দেওয়ার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লজ্জা পাওয়া উচিত। বাংলা বাঁচাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বহিষ্কার করতে হবে।