আমাদের ভারত, ৬ অক্টোবর: প্রতিমা নিরঞ্জন দেখতে বুধবার রাতে মাল নদীর ঘাটে গিয়েছিলেন মালবাজারের হাজার পাঁচেক বাসিন্দা। মেলাও বসেছিল সেখানে। সে সময়ই ঘটে বিপর্যয়। হড়পা বানের জেরে বিপুল জলস্রোতের ভেসে যান অনেকে। তাঁদের মধ্যে দুই শিশু-সহ অন্তত আট জন মারা গিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে টুইটারে জানানো হয়, “পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়িতে দুর্গাপূজা উৎসবের সময় মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মৃতদের প্রত্যেকের আত্মীয়কে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ২ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। আহতদের দেওয়া হবে ৫০ হাজার টাকা।“
এর আগে এদিন ভোরেই প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে টুইটারে জানানো হয়, পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়িতে দুর্গাপূজা উৎসবের সময় দুর্ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী মর্মাহত। যাঁরা তাদের প্রিয়জনকে হারিয়েছেন তাঁদের প্রতি রইল প্রধানমন্ত্রীর সমবেদনা।“
বিপদ ছুঁয়ে গেলেও কেউ কেউ কোনওক্রমে প্রাণে বেঁচেছেন। তবে দশমীর রাতের ভয়াবহ বিপর্যয়ের দুঃস্বপ্ন কাটছে না। উপস্থিত মানুষজন বিসর্জনের ঘাটে হড়পা বানের স্রোতে ভেসে যেতে দেখেছেন বহু মানুষকে। মালবাজারের বিপর্যয়ের পর বেশ কয়েক ঘণ্টা কেটে গেলেও সেই আতঙ্ক কাটেনি আহতদের। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক মহিলা জানিয়েছেন, চোখের সামনেই অনেককে ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছে হড়পা বান। তাঁর নিজেরও বাঁ-হাত ভেঙ্গেছে।
দশমীতে রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ মালবাজারের মাল নদীতে প্রতিমা বিসর্জনের সময় হড়পা বানে মৃতের সংখ্যা এখনও পর্যন্ত আট বলে পুলিশ সূত্রে খবর। আহত হয়েছেন অনেকে। বিপর্যয় এড়াতে অনেকে আবার নদীর চরে আশ্রয় নিয়েছিলেন।

