আমাদের ভারত, ২০ আগস্ট: কাউকে রেয়াত নয়। গুরুতর অপরাধে জড়িত থাকলে এবং গ্রেপ্তার হলে পদ খোওয়াতে হবে প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীকে। সংসদে এমনই বিল আনল কেন্দ্র সরকার। যার তুমুল বিরোধিতা করে বিরোধীরা।
গুরুতর অপরাধে জড়িত থাকায় গ্রেফতার হওয়া প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীদের অপসারণের বিল বুধবার বিরোধীদের বিক্ষোভের মধ্যেই লোকসভায় পেশ হয়। তিনটি বিল পেশ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ওই বিলগুলি মূলত সংবিধান সংশোধনের লক্ষ্যেই আনা হয়েছে। বিলে বলা হয়েছে, যদি গুরুতর অপরাধের সঙ্গে জড়িত কোন মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যমন্ত্রী থাকনে তাহলে নিজের পদের জন্য তারা কোনো সাংবিধানিক রক্ষাকবচ পাবেন না। যদিও বিরোধী ইন্ডিয়া জোট এর তীব্র বিরোধিতা করেছে। এমনকি ওয়েলে নেমে বিলের কপি পর্যন্ত ছিঁড়ে দিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
বুধবার লোকসভায় যে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পেশ হয় সেগুলো হলো— কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল প্রশাসন (সংশোধনী) বিল ২০২৫, সংবিধান বিল, (১৩০ তম সংশোধনী) বিল ২০২৫ এবং জম্মু-কাশ্মীর পুনর্ববিন্যাস (সংশোধনী) বিল ২০২৫। ওই বিলগুলি মূলত সংবিধান সংশোধনের লক্ষ্যে আনা হয়েছে।
প্রস্তাবিত ওই বিলে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কোনো রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং মন্ত্রী পদে থাকা অবস্থায় কেউ যদি গুরুতর অপরাধে ৩০ দিনের বেশি জেলে থাকেন তাহলে তাকে পদ থেকে অপসারণ করা হবে।
কংগ্রেস সহ বিরোধী শিবির বিলটির বিরোধিতা করেছে। ইন্ডিয়া জোটের দাবি, এটা আসলে বিরোধীদের নির্বাচিত সরকার ফেলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র। শাহর বিল পেশের সঙ্গে সঙ্গে তুমুল হট্টগোল শুরু করে বিরোধী শিবিরের সাংসদরা। ওয়েলে নেমে প্রতিবাদ শুরু করেন তৃণমূলের সাংসদরা। ছিঁড়ে ফেলা হয় বিলের কপি। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় অমিত শাহর দিকে বিলের কপি ছুঁড়ে দেন। বাধ্য হয়ে অধিবেশন মুলতুবি করে দিতে হয়।