আমাদের ভারত, ২৬ মার্চ: বেড়েছে পেট্রোপন্যের দাম। বেড়েছে দুধের দাম। এবার সাধারণ মানুষের ওপর আবার চাপ বাড়িয়ে দাম বাড়তে চলেছে প্যারাসিটেমল সহ অতি-প্রয়োজনীয় জীবনদায়ী ওষুধের।
পেট্রোল-ডিজেলের পর এবার দৈনন্দিন অতি প্রয়োজনীয় ওষুধের দাম বাড়ানোর সবুজ সংকেত দিয়েছে সরকার। আগামী এপ্রিল মাস থেকে ৮০০টি ওষুধের দাম বাড়তে চলেছে। প্রয়োজনীয় ওষুধের দাম সরাসরি ১০% বৃদ্ধি হতে পারে। জানা যাচ্ছে, এই দাম বৃদ্ধি হওয়া ওষুধের তালিকায় থাকতে পারে জ্বর, হাই ব্লাড প্রেসার, চর্ম রোগের ওষুধগুলি।
করোনার পর থেকে ওষুধের দাম বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে আসছিল ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি। সেই দাবি মেনে বেশ কিছু ওষুধের দাম ১০.৭ শতাংশ বৃদ্ধির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বেশ কিছু ওষুধ রয়েছে যেগুলোর দাম নিয়ন্ত্রণ করা হয়। অনুমতি ছাড়া সেই ওষুধগুলির দাম বৃদ্ধি করা হয় না। এক্ষেত্রে সেই ওষুধগুলির দাম বৃদ্ধির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
স্বাভাবিকভাবেই এপ্রিল মাস থেকে এর প্রভাব পড়বে আমজনতার পকেটে। দাম বাড়ছে প্যারাসিটামলের। সাধারণ মানুষের বাড়িতে ওষুধের যে স্টক থাকে তাতে সাধারণত প্যারাসিটামল, পেইনকিলারের মত অতি প্রয়োজনীয় ওষুধ থাকে। এবার সেই ওষুধগুলির জন্য বেশি দাম দিতে হবে আমজনতাকে।
পয়লা এপ্রিল থেকে ওষুধের দাম বাড়তে চলেছে। প্যারাসিটামল-৬৫০ এর ১৫টি ট্যাবলেট-এর পাতার দাম বর্তমানে ৩০ টাকা ৯১ পয়সা। ১০% যদি দাম বৃদ্ধি হয় তাহলে ওষুধের পাতার দাম পড়বে ৩৪ টাকা। একই রকম ভাবে বাড়বে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের দাম।
গত কয়েকদিন ধরেই পেট্রোপণ্যের দাম বেড়েছে। বহু শহরেই পেট্রোলের দাম ১০০ টাকা ছাড়িয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনেও। পেট্রোপণ্যের দাম বাড়ার সাথে সাথে বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাবারের দাম। এদিকে এমন বহু পরিবার রয়েছে যাদের মাসে নিয়মিত কিছু ওষুধের প্রয়োজন হয় । এবার সেই খরচও বাড়তে চলেছে।