আমাদের ভারত, ৪ অক্টোবর: এস আই আর বাধা পেলে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হবে। রাজ্যে শাসক দলের উদ্দেশ্যে এভাবেই হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার পানিহাটিতে মিছিল করেন তিনি। মিছিল শেষে একটি সভাও হয়। সেই সভাতেই এই মন্তব্য করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।
রাজ্যের বিরোধী দলের নেতা বলেন, এস আই আর নিয়ে তৃণমূল বিশৃঙ্খলা করলে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা বেরবে না। আর ভোটের লিস্ট না বেরলে ভোট হবে না। তাহলে আগামী ৪ মে রাত বারোটার পর রাষ্ট্রপতি শাসন চালু হবে।
শুভেন্দু অধিকারীর কথায়, এস আই আর নিয়ে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের একটাই কথা বলব, “তৃণমূল যদি ভন্ডুল করার চেষ্টা করে, বিএলওকে মারে, ইলেকশন কমিশনকে আক্রমণ করে, ইলেকশন কমিশন বুঝে নেবে। দায়িত্ব বিজেপির নয়। মারামারিতে জড়াবেন না।”
শুভেন্দু অধিকারী এদিন পরিসংখ্যান দিয়ে জানান, ২০২১ সালের ৫ মে বাংলায় সরকার গঠন হয়েছিল। সেজন্য ২০২৬ সালের ৪ মে রাত বারোটার মধ্যে রাজ্য সরকার গঠন করতে হবে। এর জন্য ৭ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করতে হবে। বিশৃঙ্খলা করে যদি এস আই আর করতে দেওয়া না হয়, তাহলে ভোটার তালিকা বেরবে না। আর ভোটার তালিকা না বেরলে ভোট হবে না। সরকার গঠন না হলে চার মে রাত বারোটার পর রাষ্ট্রপতি শাসন হবে।
রাজ্যে এস আই আর আটকানো যাবে না, দাবি করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, বাংলাদেশি মুসলিম, রোহিঙ্গা, এদের একজনেরও নাম ভোটার তালিকায় থাকবে না। হিন্দু শরণার্থীদের জন্য ভারতবর্ষ আছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০১৯ সালের ঠাকুরনগরে কথা দিয়েছিলেন সিএএ হবে। ২০২৪ সালে সিএএ চালু হয়েছে।
অনুপ্রবেশ আটকাতে বাংলাদেশের সীমানায় কাঁটাতার দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের জমি না দেওয়াকেই এদিন দায়ী করেন শুভেন্দু অধিকারী। পানিহাটির আগরপাড়ায় প্রৌঢ় প্রদীপ করের আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনার সঙ্গে এস আই আর- এর কোনো সম্পর্ক নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সোদপুর ট্রাফিক মোড় থেকে বিটি রোডের তেঁতুলতলা মোড় পর্যন্ত মিছিল ছিল আজ। বিজেপির মিছিলের সঙ্গে তৃণমূলের মিছিল মুখোমুখি হয় স্বদেশ মোড়ের কাছে। সেখানে দু’পক্ষের মধ্যে বিবাদ বাধে বলে অভিযোগ। স্লোগান পাল্টা স্লোগানের জড়িয়ে পড়ে দুই দলের কর্মীরা। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে সামাল দেয় পুলিশ।

