সোমনাথ বরাট, আমাদের ভারত, বাঁকুড়া, ২৩ ফেব্রুয়ারি: তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত অফিসে বিজেপি সাংসদ ডাঃ সুভাষ সরকারের উপস্থিতিকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে বাঁকুড়া জেলাজুড়ে। সেই সঙ্গে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা।
লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ সরকারি ভাবে ঘোষণা না হলেও সমস্ত রাজনৈতিক দলের তৎপরতা তুঙ্গে। প্রার্থী বাছাই নিয়েও চলছে নানা অঙ্ক। বাঁকুড়ায় বিজেপির প্রার্থী বদল হচ্ছে কি না এই প্রশ্নে যখন জেলাজুড়ে নানা জল্পনা চলছে ঠিক তখনই বিজেপি সাংসদের তৃণমূল পঞ্চায়েতে উপস্থিতি সেই জল্পনাকে উস্কে দিয়েছে।
তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতে সাংসদের উপস্হিতি দলের অন্দরেও চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
উল্লেখ্য, গতকাল সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডাঃ সুভাষ সরকার ছাতনার ঘোষের গ্ৰাম পঞ্চায়েতে যান।সেখানে তিনি জনগণের সেবা কার্যের জন্য একটি তিন চাকার অ্যাম্বুলেন্স প্রদানের প্রস্তাব দেন। এই বিষয়ে আলোচনা করতে তিনি পঞ্চায়েত অফিসে হাজির হন।
ছাতনার তৃণমূল নেতা ও প্রাক্তন ব্লক সভাপতি পরমেশ্বর কুন্ডু বলেন, অ্যাম্বুলেন্স প্রদানের প্রস্তাব নিয়ে বাঁকুড়ার সাংসদ এসেছিলেন। এতে আমরাও খুশি। বিষয়টি নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে বলেও তিনি জানান। এ বিষয়টি নিয়ে এত চর্চা হওয়ার কিছু নেই।
এবিষয়ে ডাঃ সুভাষ সরকার বলেন, এতে আলোড়ন হওয়ার কি আছে? আমি এলাকার জনপ্রতিনিধি হিসাবে সেখানে গিয়েছিলাম।সেটা তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় নয়, ওটা পঞ্চায়েত অফিস। এলাকার মানুষের সেবা কার্যের জন্য একটি তিন চাকার অ্যাম্বুলেন্স প্রদানের জন্য কথাবার্তা বলতে গিয়েছিলাম। মহিন্দ্রা কোম্পানি একটি ইলেকট্রিক তিন চাকার অ্যাম্বুলেন্স তৈরী করেছে। এতে জ্বালানি লাগবে না, ইলেকট্রিক চার্জেই চলবে, অনেক কম খরচেই পঞ্চায়েত থেকে এগুলো ব্যবহার করা যাবে। তিনি আরো বলেন, সাংসদ তহবিলের টাকায় উন্নয়নের কাজে জেলা প্রশাসন কোনও প্রকার সহযোগিতা তো করেই না, এই কাজে যাতে কোনও বাধা না আসে তাই সরাসরি তিনি পঞ্চায়েতে এসে কথা বলছেন।
এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশের উন্নয়নে কোনও বাছবিচার করেন না, সেই মতো জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের জন্য রাজনৈতিক রং না দেখে তিনি পঞ্চায়েত অফিসে গিয়েছিলেন।