গোপাল রায়, আরামবাগ, ২৮ এপ্রিল: করোনায় মৃত্যু হলে সেই মৃতদেহগুলোকে কবর দেওয়া হবে। তাই আগাম প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাটি খোঁড়া হচ্ছিল। আর সেই মাটি খোঁড়াকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা আরামবাগে। উত্তেজনা থামাতে বিশাল পুলিশবাহিনী ও প্রশাসনের কর্তারা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাটি ঘটেছে আরামবাগ থানার দৌলতপুরের দ্বারকেশ্বর নদীর বাঁধ এলাকায়।
জানা গেছে, করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হলে সেই মৃতদেহগুলিকে নিয়ে গিয়ে মাটিচাপা দেওয়া হবে দ্বারকেশ্বর নদীর বাঁধ এলাকায়। মঙ্গলবার সকালে প্রশাসনের তরফ থেকে নদীর পাড়ে জেসিবি দিয়ে চলছিল মাটি খোঁড়ার কাজ। ওই সময় গর্ত খোঁড়ার কাজ চলছে দেখে ঘটনাস্থলে গ্রামের লোকজন হাজির হয়। বিষয়টি জানার পরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, এই নদীর জল নিয়ে আমাদেরকে চাষ করতে হয়। এই নদীর জলে কাপড় কাচা থেকে আরম্ভ করে স্নান করা সবই করা হয়। করোনা আক্রান্ত মৃতদেহগুলি এখানে কবর দিলে তা থেকে ভাইরাস ছড়াবে মাটিতে মৃত দেহ পচে দুর্গন্ধ ছড়াবে। আমরাও করোনায় আক্রান্ত হয়ে পড়ব।

এই নিয়ে গ্রামবাসীরা মাটি খোঁড়ার কাজে বাধা দেয়। এর পরেই পুলিশের সাথে বচসা শুরু হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা অবশেষে আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আসে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানা যায় আগে থেকেই আগাম প্রস্তুতি নেওয়ার কাজ চলছিল। এলাকাবাসীরা বাধা দেয়ার ফলে মাটি খোঁড়ার কাজ বন্ধ হয়ে গেছে।

