রাজাভাতখাওয়া শকুন প্রজনন কেন্দ্র থেকে মুক্ত আকাশে শকুনদের ফিরিয়ে দেবার প্রস্তুতি শুরু করল বনদফতর

আমাদের ভারত, আলিপুরদুয়ার, ১ নভেম্বর: দ্বিতীয় দফায় বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের রাজাভাতখাওয়া শকুন প্রজনন কেন্দ্র থেকে মুক্ত আকাশে শকুনদের ফিরিয়ে দেবার প্রস্তুতি শুরু করল বনদফতর। ইতিমধ্যেই বনাধিকারিকরা মূল শকুন প্রজনন কেন্দ্র থেকে বক্সার জঙ্গলের কোর এলাকায় থাকা পাখিদের অ্যাভিয়ারিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৮টি বিলুপ্ত প্রায় হোয়াইট ব্যাকেড প্রজাতির শকুনকে। আপাতত আগামী ২ মাস তারা থাকবে কড়া নজরদারিতে। তারপরেই তাদের ছাড়া হবে খোলা আকাশে। সব ঠিক থাকলে আগামী বছর জানুয়ারি মাসে দ্বিতীয়বার বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের রাজাভাতখাওয়া জঙ্গল থেকে পাকাপাকিভাবে আর ৮টি শকুনকে প্রকৃতির বুকে ছেড়ে দেওয়া হবে।রাজাভাতখাওয়ার মূল শকুন প্রজনন কেন্দ্র থেকে একসঙ্গে ৮টি অতি বিরল প্রজাতির কার্যত বিলুপ্ত প্রায় হোয়াইট ব্যাকড প্রজাতির শকুনকে নিয়ে যাওয়া হল গভীর জঙ্গলের কোর এলাকায় থাকা নির্দিষ্ট পাখির এভিয়ারিতে। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের প্রধান মুখ্য বনপাল(বন্যপ্রাণ) বিনোদ কুমার যাদব, বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ফিল্ড ডিরেক্টর শুভঙ্কর সেনগুপ্ত সহ বনদপ্তরের অন্যান্য আধিকারিকরা।

উল্লেখ্য, গতবছর প্রথম রাজাভাতখাওয়া থেকে ৬টি হিমালয়ান গ্রিফন প্রজাতির শকুনকে খোলা আকাশে ছেড়েছিলেন বনমন্ত্রী রাজীব ব্যানার্জি। এদিন, শুভঙ্কর সেনগুপ্ত বলেন, টানা ২ মাস প্রকৃতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেবার জন্য শকুনদের নতুন অ্যাভিয়ারিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।” হোয়াইট ব্যাকড প্রজাতির শকুন অতি দুর্লভ। বিলুপ্ত প্রায়। শকুন প্রজনন কেন্দ্রের কর্তৃপক্ষের তরফে জানা গেছে খোলা আকাশ থেকে ধরে আনা দুটি শকুন এবং ৬টি শকুন প্রজনন কেন্দ্রে ডিম ফুটে জন্ম নেওয়া শকুন মিলিয়ে মোট ৮টি শকুনকে প্রথমবার জানুয়ারি মাসে রাজাভাতখাওয়া থেকে ছাড়া হবে মুক্ত আকাশে।

পাখি বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানান, রাজ্যের ইতিহাসে হোয়াইট ব্যাকড ভালচার ছাড়ার ঘটনাটি নজিরবিহীন হতে চলেছে। যেভাবে বক্সার রাজাভাতখাওয়াতে শকুন প্রজনন করে শকুনদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে তা দেশের মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *