স্বরূপ দত্ত, আমাদের ভারত, উত্তর দিনাজপুর, ২০ জানুয়ারি: ডালখোলায় বোমা ফেটে গুরুতর জখম তিন শিশুকে দেখতে রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গেলেন প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। রাতেই তিনি ওই শিশুদের পরিবারের সদস্যদের সাথে দেখা করেন। এরপর তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, সারা বাংলা বোমা শিল্পে পরিণত হয়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বাংলায় যেভাবে তা শাখাপ্রশাখার মতো ছড়িয়ে পড়েছে তাতে বাংলার ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়ছে। মাঠেঘাটে, স্কুল প্রাঙ্গনে সবত্রই বোমা বিস্ফোরণের কারণে আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেই চলেছে এই বাংলায়। আমি এই ঘটনার তীব্র নিন্দার পাশাপাশি আহতদের ঠিক মতো চিকিৎসা হওয়ার সাথে সাথে যারা মাঠে বোমা রেখে দিয়েছিল তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে অধীরবাবু বলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ঘটনার তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। আমরা জানি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্য আর পাঁচটি ঘটনার মতো এই ঘটনাকেও চেপে দেওয়ার চেষ্টা করবে এবং প্রশাসনও এই ঘটনায় কোনো মাথা ঘামাবে না। আগামীতে আন্দোলনে নামার হুমকিও দেন তিনি। অধীরবাবু বলেন, সারা বাংলায় লুট, বোমা, গুলি, হার্মাদ, মস্তানের রাজত্বে পরিণত হয়েছে। বাংলায় এটা নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে চলেছে। যত পঞ্চায়েত ভোট এগিয়ে আসবে তৃণমূলের মধ্যে অন্তর্দন্দ্ব বাড়বে, ফলে বাড়বে বোমা ও গোলাগুলির ঘটনা। লুট করে খাওয়া তৃণমূলের সদস্যের সংখ্যা বাড়ছে। তৃণমূলের লোকেদের চাহিদা বাড়ছে। সাইকেল থেকে মোটর সাইকেল, মোটরসাইকেল থেকে চার চাকা, চার চাকা থেকে ফ্ল্যাট আরো অনেক কিছু চাই। তৃণমূল নেতাদের চাহিদা বাড়ছে কিন্তু সরবরাহের জায়গাটা কমে যাচ্ছে। সরবরাহের জায়গাটা যত কমবে তত বোমাবাজি, গোলাগুলি বাড়তে থাকবে বলে জানান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী।