মিলন খামারিয়া, আমাদের ভারত,পুরী,১৬ জুন: ভারতের সবচেয়ে বড়ো কৃষক সংগঠন হল ভারতীয় কিষাণ সঙ্ঘ। তারা কৃষকদের নিয়ে সংগঠনাত্বক, রচনাত্বক ও আন্দোলনাত্বক কাজ করে থাকে। কৃষকরা যাতে ফসলের ন্যায্য দাম পান, কৃষির উন্নতির মাধ্যমে যাতে মানুষের সার্বিক উন্নতি হয়, সেই জন্যই ‘ভারতীয় কিষাণ সঙ্ঘ’-এর প্রতিষ্ঠা করেন দত্তপন্থ বাপুরাও ঠেংরী, ১৯৭৯ সালের ৪ ঠা মার্চ। তারপর থেকে সারা ভারত জুড়ে সংগঠন বিস্তার লাভ করেছে।
গত ১২ ও ১৩ জুন (২০২২), এই সংগঠনের পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা প্রান্তের কার্যকর্তাদের নিয়ে পুরীর সরস্বতী শিশু মন্দিরে অনুষ্ঠিত হল ‘অভ্যাস বর্গ’। দুই রাজ্যের ৩৭ জন কার্যকর্তা উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন অখিল ভারতীয় সংগঠন সম্পাদক দীনেশ কুলকার্নি ও অখিল ভারতীয় কার্যকারিনী সদস্য ও পশ্চিমবঙ্গ প্রান্তের সভাপতি কল্যাণ কুমার মন্ডল। দু’দিনের কার্যক্রমে সংগঠন ও সংগঠনের বিস্তার এবং ভবিষ্যৎ কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করা হয়।
এই ‘অভ্যাস বর্গ’-এর প্রয়োজনীয়তা নিয়ে সংগঠন সম্পাদক দীনেশ কুমার কুলকার্নি জানান, “কার্যকর্তাদের সাংগঠনিক পরিচয় ও ভারতীয় কিষাণ সঙ্ঘের সঙ্গে সব মানুষকে কীভাবে যুক্ত করা যায় – সেই উদ্দেশ্য নিয়েই এই অভ্যাস বর্গ।”
বর্গে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় কিষাণ সঙ্ঘের নতুন দায়িত্ব প্রাপ্ত পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ক্ষেত্রীয় সংগঠন সম্পাদক শ্রীনিবাস। তিনি কার্যকর্তাদের সামনে সংগঠনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। কল্যাণ কুমার মন্ডল জানান, “কৃষকরাই যে ভারতের মূল শক্তি ‘করোনা মহামারি’ তা আরও একবার প্রমাণ করে দিয়েছে। সে-ই কৃষকদের সার্বিক উন্নতির জন্য ভারতীয় কিষাণ সঙ্ঘ বদ্ধপরিকর।”
ভগবান বলরামের আদর্শকে পাথেয় করে ও ভারত মাতার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এবং দত্তপন্থ ঠেংরীর দেখানো পথে ভারতীয় কিষাণ সঙ্ঘ নিজেদের সাংগঠনিক বিস্তার ঘটাচ্ছে। ‘দেশ কা হাম ভান্ডার ভরেঙ্গে লেকিন কিমৎ পুরা লেঙ্গে’-এই তাদের শ্লোগান। কৃষিজীবী মানুষ লাভ করুক উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য দাম, এটাই ভারতীয় কিষাণ সঙ্ঘের মূল উদ্দেশ্য।