আমাদের ভারত,৩ ডিসেম্বর: একমাসের ও বেশি সময়। ধরে চলা নাটকের পর এনসিপি- সেনা- কংগ্রেস জোট ক্ষমতাশীন। সবকিছু থিতু হওয়ার পর আবার বোমা ফাটালেন মারাঠা স্ট্রং ম্যান।
মহারাষ্ট্রের সরকার গঠন নিয়ে যখন টালমাটাল অবস্থা তখনই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার। আর তারপরই রাজনৈতিক মহলে তৈরি হয়েছিল নতুন জল্পনা। তাহলে কি, বিজেপি এনসিপি নতুন সমীকরণ দেখতে পারতে মানুষ। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয় শরদ পাওয়ারকে রাষ্ট্রপতি হওয়ার অফার দেওয়া হয়েছিল। তবে সবটাই ছিল জল্পনা। তবে যা রটেছিল তা সম্পূর্ণ ভুল নয়।কিছুটা ঠিক। একটি টিভি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে স্বীকার করে নিয়েছেন শরদ পাওয়ার।
সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে এনসিপি সুপ্রিম জানিয়েছেন, একসাথে কাজ করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন তাকে মোদী। তবে তাতে সাড়া দেননি তিনি। জানিয়েছিলেন মোদীর সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক তার ভালো কিন্তু তা বলে একসঙ্গে কাজ করা সম্ভব নয়।
শরদ আরো জানান তার মেয়ে সুপ্রিয়া সুলেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হবার অফার দেওয়া হয়েছিল। সুপ্রিয়া সুলে বর্তমানে সাংসদ।
কিন্তু রাষ্ট্রপতি হওয়ার অফারের যে বিষয়টি ঘোরাফেরা করছিল তা অস্বীকার করেন শরদ। জানান এইরকম কোনো প্রস্তাব তাকে দেওয়া হয় নি।
প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে যখন শারদ পাওয়ার দেখা করতে গিয়েছিলেন তখনই এইসব দেওয়া তাকে হয়েছিল কিনা তা স্পষ্ট হয়নি।
কিন্তু ক্ষমতা ধরে রাখতে এন ষসিপিকে কাছে টানতে বিজেপি যে প্রলোভন দেখিয়েছিল পাওয়ারের কথায় সেই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
রাজনৈতিক মহলের মত শরদের কাছে না শোনা্য পরে ভাইপোঅজিত পাওয়ারকে কাছে টানতে সক্ষম হয়েছিল বিজেপি। অজিতের সমর্থনেই রাতারাতি সরকারও করে ফেলেছিল পদ্মশিবির। তড়িঘড়ি মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেবেন্দ্র ফড়নবিশ এবং উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে অজিত পাওয়ার শপথ গ্রহণ করেন। কিন্তু অজিতের এই সিদ্ধান্তে চূড়ান্ত বিরক্ত হন এনসিপিসিপ্রধান। বরং পাল্টা জানিয়ে দেন শিবসেনা ও কংগ্রেসকে পাশে নিয়ে সরকার গড়বে এনসিপি এবং বাস্তবেও তাই ঘটে।