জে মাহাতো, আমাদের ভারত, মেদিনীপুর, ৫ এপ্রিল: কেশপুর ব্লকের পিয়াশালা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ষাঁড়ের গুঁতোয় প্রাণ হারিয়েছেন মধ্য বয়স্ক এক কৃষক। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত কৃষকের নাম ধর্ম ঘোষ। বাড়ি ওই পঞ্চায়েত এলাকারই চিঁয়াপাট গ্রামে।
জানা গেছে, মৃত ধর্ম ঘোষ একজন সম্পন্ন আলু চাষি ছিলেন। প্রতি বছরের মত এবারও কয়েক বিঘা জমির আলু তোলার কাজ শেষ করে মঙ্গলবার সেই আলু সংরক্ষণের জন্য গরুর গাড়ি করে নিয়ে গিয়েছিলেন নিউ দণ্ডপাট কোল্ড স্টোর নামে স্থানীয় একটি হিমঘরে।
আনন্দপুর থানার পুলিশ জানায়, হিমঘর লাগোয়া অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে ঘুরে বেড়ায় ধর্মের নামে ছেড়ে দেওয়া একটি ষাঁড়। হিমঘরের ফেলে দেওয়া বাতিল ও পরিত্যক্ত আলু খাওয়ার লোভেই ষাঁড়টি হিমঘরের কাছাকাছি ঘুরে বেড়ায়। কখনও হিমঘরের গেট পেরিয়ে ভেতরেও ঢুকে পড়ে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এই সময় কৃষকরা হিমঘরে প্রচুর আলু জমা করছেন এবং হিমঘর কর্তৃপক্ষ বাতিল আলু ফেলেও দিচ্ছেন। তাই, ষাঁড়টি এদিনও হিমঘরের চত্বরে ঢুকে পড়েছিল। এই সময় ধর্ম ঘোষ হিমঘরের প্রধান ফটক পার হতেই ষাঁড়টির মুখোমুখি হয়ে পড়েন। গাড়ির সঙ্গে বাঁধা বলদ দুটি সামনে ষাঁড়টিকে দেখে উত্তেজিত হয়ে ওঠে। রুখে দাঁড়ায় ষাঁড়টিও। শুরু হয় ষাঁড় বনাম গরু দুটির লড়াই। ধর্ম ঘোষ লাঠি হাতে লড়াই আটকাতে গেলে ষাঁড়ের গুঁতো খেয়ে গরুর গাড়ির সামনে পড়ে যান। মারমুখী ষাঁড়টি গাড়ির সঙ্গে ঠুসে ধরে ধর্ম ঘোষের পেটে শিং ঢুকিয়ে দেয়। ওই অবস্থায় গরু দুটির টানাটানিতে আলুর বস্তা বোঝাই গরুর গাড়ির চাকা ধর্ম ঘোষের মাথার উপর দিয়ে গড়িয়ে যায়। দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে চন্দ্রকোনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃত্যুর খবর আসার পরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন অন্যান্য কৃষকরা।