আমাদের ভারত, মেদিনীপুর, ২ সেপ্টেম্বর: নিজেদের পটচিত্র দিয়ে সুদৃশ মাস্ক বানিয়ে তা বিপণণ করে নিজেদের সংসার চালানোর চেষ্টা করছেন পূর্ব মেদিনীপুরের পটশিল্পীরা। করোনার কারণে লকডাউন ও আমফানের জোড়া ধাক্কায় সঙ্কটের মুখে পূর্ব মেদিনীপুরের “পটের গ্রাম” হিসেবে পরিচিত চন্ডীপুর, হবিচক, নানকারচকের প্রায় দেড় শতাধিক পটশিল্পী। করোনার জেরে রাজ্য জুড়ে সমস্ত মেলা ও উৎসব বন্ধ। তাই কাজ নেই। বিক্রিও নেই। ফলে টান পড়েছে রুজিতে। তাই অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখে দাঁড়িয়ে কেউ বাধ্য হয়েছে কোদাল ধরতে, আবার কেউ একশো দিনের কাজ করছেন। সেই সঙ্গে অভাবের সংসার বাঁচাতে, ছেলে-মেয়েদের মুখে খাদ্যের জোগাড়ের জন্য সামান্য রোজকারের আশায় অভিনব মাস্ক তৈরি করে বিক্রি শুরু করছেন আবেদ চিত্রকর, সায়েরা চিত্রকর, রিজিয়া চিত্রকর, আলেকজান্ডার পটিদার প্রমুখরা।
স্থানীয় শ্যামসুন্দরপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক অরুণাংশু প্রধান তাঁদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। তিনি জানান, এই সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে এদের হাতের তৈরি মাস্ক বিক্রির জন্য সহায়তা নিয়েছি ফেসবুকের। এর মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গা থেকে ভালোই সাড়া মিলছে।অর্ডার অনুযায়ী ক্রেতাদের পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে অভিনব মাস্ক। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটুয়াদের হাতের তৈরি একটা লৌকিক ঘরানার মাস্ক ছড়িয়েছে পড়ছে চারিদিকে। এই মাস্ক সম্পূর্ণ কাপড়ের তৈরি। এটা ব্যবহারের পাশাপাশি বাড়িতে সাজিয়ে রাখা যাবে বলে জানাচ্ছেন পটশিল্পীরা।

আবেদ চিত্রকর জানান, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার হলদিয়ার, মহিষাদল, তমলুক, নন্দীগ্ৰামের পাশাপাশি কলকাতা ও অন্যান্য জায়গা থেকেও অর্ডার আসছে। ফলে এই সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে কিছুটা হলেও রোজকারের দিশা খুঁজে পেয়েছেন জেলার পটশিল্পীরা।

