আমাদের ভারত, ২৫ ফেব্রুয়ারি: সন্দেশখালিতে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে প্রশাসনকে ব্যবহার করার অভিযোগ তুললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর দাবি, সন্দেশখালিতে রাজনৈতিক ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে, যা শুধু বিজেপির জন্যই প্রযোজ্য। একই সঙ্গে তাঁর কথায়, শেখ শাহজাহান ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের ভাগ্য ভালো যে জনতা তাদের গাছে বেঁধে রাখেনি।
সুকান্ত মজুমদার বলেন, সন্দেশখালিতে রাজনৈতিক ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এই ১৪৪ ধারা শুধুমাত্র বিজেপির জন্যই প্রযোজ্য। এমনকি অন্যান্য বিরোধী দলের কাউকে তেমন ভাবে আটকানো হচ্ছে না। তিনি বলেন, “বৃন্দা কারাত যেদিন গিয়েছিলেন তাঁর সাথে তো ১০-১২ জন লোক ঢুকে গেছে। বৃন্দা কারাত এমপি না এমএলএ? আমি যেদিন গেছি আমাকে আটকেছে। আমি যখন বলেছি বৃন্দা কারাতকে কেন ঢুকতে দিয়েছেন? তখন রাজি হল, বলল আপনি একা যেতে পারেন। তার মানে এই ১৪৪ ধারা শুধুমাত্র বিজেপির জন্য।” তিনি আরো বলেন, “আমি সেখানে যাওয়ার পর সেখানকার মহিলারা ফুল ছেটাচ্ছিলেন, শঙ্খ বাজাচ্ছিলেন, হাতি রাখি বাঁধলেন। কিন্তু তৃণমূলকে দেখলে ওই মহিলারাই ঝাঁটা নিয়ে তেড়ে যাচ্ছে।”
সুকান্ত মজুমদার বলেন, “শেখ শাহজাহানের ভাই তার সঙ্গি সাথী মিলে ওখানে একটা লুটের সাম্রাজ্য কায়েম করে রেখেছিল। আমি তো বলব ওদের ভাগ্য ভালো যে সঙ্গে পুলিশ আছে বলে পাবলিক ধরে গাছে বেঁধে রাখেনি।
মার্চের শুরুতেই রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী তো পশ্চিমবঙ্গে ভোটের তিন মাস আগে থেকে থাকা উচিত। গোটা ভারতবর্ষে কতগুলো রাজ্যে ভোট হয়ে গেল। আমরা তিন-চারটে রাজ্যে ক্ষমতায় এলাম। শুনেছেন কোথাও পোস্টপোল ভায়োলেন্স বলে কিছু হয়েছে। আর এখানে দেখুন ভোটের আগে থেকে ধমকানি চমকানি শুরু হয়ে যাবে। একই সঙ্গে কটাক্ষ করে বিজেপি নেতা বলেন, “এখন অবশ্য গলার বয়স কমে গেছে। এখন আর অত খেলা হবে খেলা হবে বলে চিৎকার করছে না। এখন তো ইডি, সিবিআই খেলছে।”