আমাদের ভারত, ব্যারাকপুর, ৩১ জুলাই: এবার থেকে কল্যানী এক্সপ্রেসওয়ে ধরে যাতায়াত করলে গাড়ির চালকদের থাকতে হবে সতর্ক। রাখতে হবে গাড়ির গতিতে নিয়ন্ত্রণ, নইলে পড়তে হতে পারে শাস্তির কোপে।
নতুন ভাবে সম্প্রসারণ করা হয়েছে কল্যানী এক্সপ্রেসেওয়েকে, যাতে খুব সহজেই কল্যানী এএমএস- এর চিকিৎসা পরিষেবা পেতে পারেন উত্তর ২৪ পরগনা ও কলকাতার মানুষজন। সেই সঙ্গে রাস্তার দুই ধারের বিস্তীর্ণ এলাকায় গড়ে উঠেছে বিভিন্ন স্কুল ও কলেজ। কিন্তু এই রাস্তা সম্প্রসারণের সাথে সাথে এই রাস্তায় বেড়েছে দুর্ঘটনার সংখ্যা। এই রাস্তায় দিন দিন গতির বলি হচ্ছে একের পর এক মানুষ। উন্নত মানের রাস্তা হওয়ায় কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়েতে যেন কিছুতেই রাশ টানা যাচ্ছে না গাড়ির গতির। এবার পথ নিরাপত্তায় বাড়তি জোর দিতে এক্সপ্রেসওয়েতে নেমে পড়েছে অত্যাধুনিক মেশিন নিয়ে পুলিশ কর্তারাই।
ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের ট্রাফিক বিভাগ পথ নিরাপত্তা নিয়ে মানুষকে সচেতনত করতে একের পর এক কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে, অথচ কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়েতে দিন দিন দুর্ঘটনার সংখ্যা বাড়ায় চাপ বেড়েছে ট্রাফিক কর্তাদের মধ্যেও। কমিশনারেটের উত্তর বিভাগে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের অন্তর্গত আঁতপুর সাব ট্রাফিক গার্ডের তরফ থেকে গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণে এবং দুর্ঘটনা হ্রাস করতে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কমিশনারেটের পক্ষ থেকে পাঁচটি ট্রাফিক গার্ডকে দেওয়া হয়েছে ‘স্পিড লেজার গান’। আতপুর সাব ট্রাফিক গার্ডের তরফে কল্যানী এক্সপ্রেসওয়ের বাসুদেবপুর মোড়ে অত্যাধুনিক ‘স্পিড লেজার গান’ দিয়েই গাড়ির গতি বোঝার চেষ্টা করছেন ট্রাফিক আধিকারিকরা।
ট্রাফিকের এক পুলিশকর্তা জানান, বেপরোয়া গাড়ির গতি রোধ করতে এবং সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে বেশ কয়েকদিন ধরেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে গাড়িগুলির গতি পরীক্ষা চলছে সর্বক্ষণ। কল্যানী এক্সপ্রেসওয়ের জন্য নির্ধারিত গতির বাইরে কেউ গাড়ি চালালে ট্রাফিকের আধিকারিকরা সঙ্গে সঙ্গে তাদের থামাচ্ছেন। এমনকি অত্যাধুনিক ওই মেশিন থেকে পাওয়া উপযুক্ত প্রমাণ দিয়ে ওই গাড়ির চালককে বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে, আপনার গাড়ি স্পিড লিমিট ক্রস করেছে। ট্রাফিক আইন ভাঙলে গাড়ি ও বাইক চালকদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলেও সূত্রের খবর। মনে করা হচ্ছে, এই ব্যবস্থা চললে গাড়ির চালকরা কল্যানী এক্সপ্রেসওয়েতে বেপরোয়া ভাবে গাড়ি না চালিয়ে সতর্ক হয়ে নির্দিষ্ট গতিতে গাড়ি চালাবেন।
গাড়ির গতি কমানোর এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারাও। তাদের মতে দিন দিন এক্সপ্রেসওয়েতে যেভাবে দুর্ঘটনা বাড়ছে তাতে পুলিশ যে ভূমিকা নিচ্ছে তা প্রশংসনীয়। এই ভাবেই হয়তো অনেকাংশে দুর্ঘটনা কমানো যাবে।