আমাদের ভারত, ব্যারাকপুর, ১৯ আগস্ট: ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের ভাইপো রণজিৎ সিং ওরফে পাপ্পু সিংয়ের বাড়িতে পুলিশি তল্লাশি ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল বুধবার দুপুরে। তবে, আওর্জুন সিংয়ের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গেলে বাধার মুখে পড়ে পুলিশ। উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়া এলাকায় অর্জুন সিংয়ের বাড়ি তথা অফিস মজদুর ভবন সংলগ্ন তাঁর আত্মীয় ভাইপো রঞ্জিত সিং ওরফে পাপ্পু সিংয়ের বাড়ি। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগের পুলিশের অভিযোগ, সাংসদের ভাইপো ভাটপাড়া কো অপারেটিভ ব্যাঙ্কের কয়েক কোটি জনগণের টাকা প্রতারণা করেছে। অভিযুক্ত রঞ্জিত ওরফে পাপ্পু সিংয়ের খোঁজে তল্লাশি চালাতে বুধবার দুপুরে তার বাড়িতে যায় পুলিশ। এই তল্লাশি অভিযান ঘিরে বুধবার দুপুরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে ভাটপাড়া মজদুর ভবন এলাকায়।
ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা শাখার পুলিশের একটি দল এবং ভাটপাড়া থানার পুলিশ যৌথ ভাবে অর্জুন সিংয়ের বাড়ি ও তৎসংলগ্ন অফিস মজদুর ভবনের সামনে বুধবার দুপুরে তল্লাশি চালাতে উপস্থিত হয়। কিন্তু পুলিশের এই তল্লাশি অভিযানে বাধা দেয় সংসদ অর্জুন সিংয়ের বাড়ির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিআইএসএফের জাওয়ানরা। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ ও ভাটপাড়া থানার পুলিশ বাহিনী যৌথ তল্লাশি অভিযান চালাতে গেলে সাংসদ অর্জুন সিংয়ের কার্যালয় মজদুর ভবন সংলগ্ন পাপ্পু সিংয়ের বাড়ির তালা বন্ধ ঘর বল পূর্বক খুলে তল্লাশি চালায় বলে অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। সেই সময় ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। এরপর অর্জুনবাবু ও তার বাড়ির নিরাপত্তার দ্বায়িত্বে যুক্ত সিআইএসএফ জওয়ানদের সাথে বচসা শুরু হয়ে যায় তল্লাশি চালাতে আসা ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ বাহিনীর। সিআইএসএফের জাওয়ানরা পুলিশি তল্লাশিতে বাধা দিতে গেলে গন্ডগোলের সৃষ্টি হয়। সাংসদ অর্জুন সিং বাড়ি তল্লাশি চালানোর উপযুক্ত আইনি নোটিশ দেখতে চাইলে পুলিশ যথাযথ কাগজ দেখাতে পারেনি বলে দাবি করেছেন সাংসদ অর্জুন সিং। অবশেষে পুলিশ ওই বাড়ির একাংশ তল্লাশি চালিয়ে ফিরে যায়। তল্লাশি চালাতে আসা পুলিশ বাহিনীর তল্লাশিতে এদিন কিছুই উদ্ধার হয়নি।
সাংসদ অর্জুন সিং অভিযোগ করে বলেন, “পুলিশ আজ আমার ভাইপো রণজিৎ সিং ওরফে পাপ্পু সিংয়ের বাড়ি তল্লাশি চালাতে এসেছিল কিন্তু তাদের কাছে রঞ্জিতের বাড়ি তল্লাশি করবার কোনও উপযুক্ত আইনি নোটিশ বা যথাযথ কাগজ ছিল না। আমার ভাইপোর কোনও আত্মীয় মারা যাওয়ায় প্রায় দুই মাস ধরে সে দেশের বাড়ি গেছে। ওদের ওই ঘর তালা বন্ধ। কিন্তু তা সত্বেও পুলিশ জোর করে তালা খুলে এই বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে। কিন্তু তল্লাশিতে কিছুই পায়নি পুলিশ। এই বাড়ি বা ঘর তল্লাশি করবার কোনও বৈধ কাগজ পুলিশের কাছে ছিল না। পুলিশ আইন ভেঙে তল্লাশি করছে, আমার বাড়িতে ঢুকে হেনস্থা করেছে। আমি এই পুলিশ কর্মীদের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাব। এখন মুখ্যমন্ত্রী আমার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক লড়াই বাদ দিয়ে ব্যাক্তিগত লড়াই লড়ছে।”