Sukanta, BJP, অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগের পরেও ব্যবস্থা নিচ্ছে না পুলিশ, সোশ্যাল মিডিয়ায় সুকান্তর পোস্টের পরেই ইউধাও ২ বাংলাদেশি

আমাদের ভারত, ২ নভেম্বর: এস আই আর আবহে বিজেপি সংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের সোশ্যাল মিডিয়ায় অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বলে পোস্ট করার পরেই উধাও অনুপ্রবেশকারীরা।

দক্ষিণ দিনাজপুরে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী রয়েছে, এই বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রমাণ সহ সরব হয়েছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। তাঁর দাবি, বংশীহারীতে দু’জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে একাধিকবার পুলিশকে জানানো হলেও পুলিশ কোনো পদক্ষেপ করেনি। এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আভ্যন্তরীণ সুরক্ষা নিয়ে আপোষের অভিযোগ তোলেন সুকান্ত মজুমদার। আর বিজেপি সাংসদের এই পোস্টের পরেই উধাও হয়ে যায় ওই দুই অভিযুক্ত অনুপ্রবেশকারী।

রবিবার সুকান্ত মজুমদার নিজের এক্স হ্যান্ডেল এবং ফেসবুকে দু’জনের পরিচয়পত্র সহ একটি পোস্ট করেন। দক্ষিণ দিনাজপুরের বংশীহারী থানার করখা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল মান্নান ও তার স্ত্রী লাভলি বেগম নামে দুই বাংলাদেশি নাগরিকের বাংলাদেশি পরিচয় পত্র পোস্ট করেন তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাঁর অভিযোগ, এরা বাংলাদেশি হবার পরেও অবৈধভাবে ভারতে বসবাস করছে। সুকান্ত মজুমদার অভিযোগ করেন, ওই দুই অবৈধ অনুপ্রবেশকারীর বাংলাদেশি পরিচয় পত্র দিয়ে বংশীহারী থানায় অভিযোগ জানানো হলেও পুলিশ এখনো পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

এদিকে সুকান্ত মজুমদার অভিযোগ করার পরই ২ বাংলাদেশীর কোনো হদিশ পাওয়া যাচ্ছে না। বাড়িতে তালা দেওয়া। জানাগেছে, ২০২৩ সালে নভেম্বরে বংশীহারী থানার করখা গ্রামের বাসিন্দা ফিরোজ মিঞা নামে এক ব্যক্তি বংশীহারী থানায় লিখিতভাবে অভিযোগ জানান ওই দু’জনের বিরুদ্ধে। বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের অভিযোগ, দু’বছর হয়ে গেল, ওই দুই অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশ এখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এই অভিযোগকারী ফিরোজ মিঞার স্ত্রী নাসিমা পারভিনও একই অভিযোগ করেন, কিন্তু অভিযুক্ত আব্দুল মান্নান ও তার স্ত্রী লাভলি বেগমকে আর এদিন সকাল থেকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি।

সুকান্ত মজুমদারের সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টের পর থেকেই তারা বাড়ি থেকে বেপাত্তা হয়ে যায় বলে অনুমান স্থানীয় বাসিন্দাদের। অভিযুক্ত বাংলাদেশি প্রতিবেশীদের দাবি, কিছুদিন আগে তারা এসেছে। ওদের বাড়ি বাংলাদেশে বলেই জানেন প্রতিবেশীরা। তারা বলেন, এখন আর ওদের দেখতে পাচ্ছি না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *