পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৫ ফেব্রুয়ারি: শাহজাহানকে পুলিশ লুকিয়ে রেখেছে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর শহরের বগদা এলাকায় আজ সাত সকালে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে চা চক্রে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একথা বললেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, শাহজাহানকে পুলিশ লুকিয়ে রেখেছে। পুলিশ কি তাকে অ্যারেস্ট করবে? করলে তো প্রথমেই করত। ডিজি আজ গেছেন। এতদিন পর্যন্ত একটাও অফিসার কেন যাননি? ওখানে পুলিশ চোখ বন্ধ করে অপরাধীদের সঙ্গেই ছিল। বছরের পর বছর লোক অত্যাচারিত হয়েছে। জমি, বাড়ি, মান সম্মান সব লুট করা হয়েছে। পুলিশ সব জানে, তাই সাধারণ মানুষের পুলিশের উপর থেকে বিশ্বাসটাই চলে গেছে।
আজ পুলিশের গাড়ি আটকানো হচ্ছে, পুলিশকে গো ব্যাক বলা হচ্ছে। কথা বলতে চাইছে না। উনারা বলছে কোনো অভিযোগ নেই, যেই অভিযোগ নেওয়া শুরু হলো ১২৫০ জন অভিযোগ করেছেন। আর কত অভিযোগ চাই? মমতা ব্যানার্জি বিধানসভায় দাঁড়িয়ে মিথ্যে কথা বলছে যে, কিছু হয়নি। কিছু হয়েছে কিনা কেউ দেখতে যায়নি। আজ তাই সাধারণ মানুষের ক্ষোভ আছড়ে পড়েছে। তাই পুলিশ প্রশাসনকেউ তারা বিশ্বাস করছে না।
সন্দেশখালিতে সরকার পক্ষকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে, কিন্তু বিরোধীদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, উনারা ভয় পাচ্ছেন। অন্য পার্টির লোকেরা গেলে আরো বেড়ে যাবে ব্যাপারটা, কিন্তু এই মন্ত্রীরা এতদিন পরে গেলেন কেন? আরো আগে কেন গেলেন না? মমতা ব্যানার্জি ভারতবর্ষের যেখানে কোনো গন্ডগোল হয় প্রতিনিধি দল পাঠিয়ে দেন। সন্দেশখালি ৫০ কিলোমিটার, কেন যেতে পারছে না নদী পার হয়ে? উনারা চোখের আড়ালে রেখে ঘটনাটা চেপে দিতে চাইছেন। কিন্তু স্থানীয় মানুষ যে সাহসের সঙ্গে আন্দোলন করছেন, এগিয়ে যাচ্ছেন, বিশেষ করে মহিলারা, তাই তার পক্ষে চাপা সম্ভব হচ্ছে না। সারা ভারতবর্ষ এই নিয়ে নিন্দা হচ্ছে।
সন্দেশখালির অবস্থা নিয়ে দলের আগে থেকে বোঝা পড়া করা উচিত ছিল কুনাল ঘোষের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে দিলীপ ঘোষ বলেন, উনি সকালে একরকম বলেন, বিকেলে একরকম বলেন। এখন উপলব্ধি হচ্ছে যখন মানুষ ক্ষেপে গেছে। যারা ইডিকে, সিবিআইকে লোক দিয়ে পেটাতেন। আজ তাদের নেতাদেরকে জুতোপেটা করা হচ্ছে। তাই এই জুতোপেটা খাওয়ার ভয়ে কোনো নেতা, মন্ত্রী যাচ্ছে না। আজ প্রটেকশন নিয়ে নেতা-মন্ত্রীদের পাবলিকের সামনে যেতে হচ্ছে। ওখানকার এমপি কোথায় গেলেন? সুন্দর চেহারা দেখে যারা আজ ভোট দিয়েছেন। তারা আজ ধর্ষিত হচ্ছেন। এই যে দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতি, এটাকে উল্টাপাল্টা স্টেটমেন্ট দিয়ে মিথ্যা কথা বলে মুখ্যমন্ত্রী চেপে দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
শাহজাহান নাকি সিপিএমের প্রোডাক্ট ছিল, এখন তৃণমূলে এসেছে এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এরকম অনেক প্রোডাকশন সিপিএম করে গেছে। আজ যে তারা তাদের বিরুদ্ধে ধর্না দিচ্ছে লজ্জা করে না? চিটফান্ডের যারা অপরাধী তাদের সিপিএম তৈরি করেছে। পাড়ায় পাড়ায় যত দুষ্কৃতকারী তাদের সিপিএম থেকেই হাতেখড়ি নিয়েছে। দিদিমণি তাদের হাওয়া, জল দিয়ে লালন পালন করছেন, তাই লোককে ভুগতে হচ্ছে।