আশিস মণ্ডল, রামপুরহাট, ২৯ জানুয়ারি: বাবাকে মিথ্যা মামলায় জেল খাটিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ। তাই সরকারের সবুজ সাথীর সাইকেল প্রত্যাখ্যান করল মেয়ে। স্কুলের প্রধান শিক্ষককে লিখিতভাবে তার অনিচ্ছার কথা জানায় দশম শ্রেণির ওই ছাত্রী।
ওই ছাত্রীর নাম মৌতৃষা দে। বাড়ি বীরভূমের মল্লারপুর থানার ভগবতীপুর গ্রামে। মৌতৃষা স্থানীয় কুসুমি হাইস্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী। শুক্রবার তাদের সাইকেল দেওয়ার দিন ধার্য হয়। সেই মতো এদিন স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের সাইকেল দেওয়ার জন্য মল্লারপুরের ময়ূরেশ্বর ১ নম্বর ব্লক কিষাণ মান্ডিতে ডেকে পাঠানো হয়। সেখানে গিয়ে সাইকেল না নেওয়ার কথা লিখিতভাবে প্রধান শিক্ষককে জানায় মৌতৃষা। প্রধান শিক্ষককে লেখা চিঠিতে সে জানায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর আমার বাবা সুশান্ত দে’কে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করে। এরপর মল্লারপুর, মাড়গ্রাম, নলহাটি ও তারাপীঠ থানা ঘুড়িয়ে ৩৫ দিন পর জামিনে মুক্তি পান। তাছাড়া যে সরকার মেয়েদের জন্য স্কুলে আলাদা শ্রেণিকক্ষ তৈরি করে দিতে পারে না, মেয়েদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ সেই সরকারের সাইকেল নেব না।
সুশান্তবাবু বলেন, “স্কুলের শিক্ষকদের ধন্যবাদ জানাই। কারণ স্কুলের শিক্ষকরা আমার মেয়েকে প্রকৃত শিক্ষা দিয়ে মানুষ হিসেবে গড়ে তুলেছেন। মেয়ের সাইকেল না নেওয়ার সিদ্ধান্তকে আমি পূর্ণ সমর্থন করি। আমি মনে করি এই প্রতিবাদের শিক্ষা স্কুল থেকেই পেয়েছে।”
প্রধান শিক্ষক শ্রীকান্ত মণ্ডল বলেন, “ওই ছাত্রী ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে সাইকেল নিতে চায়নি। বিষয়টি আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব।”