আমাদের ভারত, মালদা, ১৬ ফেব্রুয়ারি: গাজোলে শিশু মৃত্যুর ঘটনায় অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করল পুলিশ। অভিযুক্ত ওঝাকে আজ মালদা জেলা আদালতে তোলা হয়। এদিকে কবর থেকে মৃতদেহ তুলে ময়নাতদন্তে পাঠানো নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মৃতের পরিবার।
মৃত দুই শিশু মহম্মদ ফিরোজ ও শফিকুল ইসলাম। শুক্রবার বিকেলে চার শিশু স্থানীয় একটি বাঁশ বাগানের সামনে খেলতে গিয়েছিল। এরপর থেকেই তারা অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাদের সুস্থ করতে স্থানীয় ওঝা আব্দুল রফিককে ডেকে পাঠানো হয়। সেইমতো বাড়িতে গিয়ে সে ঝাড়ফুঁক শুরু করে। তাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে এক শিশুর মৃত্যু হয়। বাকি তিনজনকে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে আরও এক শিশুর মৃত্যু হয়। বর্তমানে দুইজন মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে ওই দুই শিশু বর্তমানে সুস্থ রয়েছে। আরো ৪৮ ঘন্টা তাদের পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই রবিবার ভোর বেলা মৃত দুই শিশুকে কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় গাজোল থানার পুলিশ। পরিবারের অভিযোগ, যদি ময়নাতদন্ত করারই ছিল। তাহলে হাসপাতাল থেকে মৃতদেহ ছাড়া হল কেন? এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মৃতের পরিবারের সদস্যরা।
মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারি অধ্যক্ষ ও সুপার অমিত দাঁ জানান, কেন মৃতদেহ নিয়ে চলে গেল পরিবারের সদস্যরা তা নিয়ে আমিও অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছিলাম। সেই কারণে বিষয়টি পুলিশকে জানাযই। পুলিশ তৎপর হয়ে মৃতদেহ দুটি কবর থেকে তুলে নিয়ে এসেছে। তাদের ময়নাতদন্ত হচ্ছে আজ। রিপোর্ট আসলেই মৃত্যুর কারণ পরিষ্কার হয়ে যাবে।