আমাদের ভারত, পূর্ব বর্ধমান, ১৭ ডিসেম্বর: চাপা উত্তেজনা রয়েছে পূর্ব বর্ধমানের চান্ডুল গ্রামে। বিজেপি তৃণমূল সংঘর্ষের পর থেকে গ্রামে পুলিশ পিকেট বসানো হলেও আতংক কাটেনি গ্রামবাসীদের। ঘটনার পরে গ্রাম পরিদর্শনে যান বর্ধমান উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক নিশীথ মালিক।
বিধায়কের অভিযোগ, বিজেপি গ্রামে অশান্তি বাধানোর চেষ্টা করছে। তৃণমূল সমর্থকদের বাড়িঘর ভাঙ্গচুর করেছে। আমরা গ্রামবাসীদের পাশে আছি। পুলিশ প্রশাসন বিষয়টি দেখছে। কেউ আতংকিত হবেন না। যদিও গ্রামবাসীদের একাংশ দাবি করছেন, তারা বিজেপির সমর্থক বলে বেছে বেছে তাদের বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়েছে। পুলিশকে ঘটনার কথা জানিয়েছি। গ্রাম প্রায় পুরুষ শূন্য। ফলে আতংক থেকেই যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, বিজেপি তৃণমূল সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বর্ধমানের চান্ডুল। ঘটনায় চারজন আহত হয়েছেন। বর্ধমান থানার পুলিশ ১৬ জনকে গ্রেফতার করেছে।
বিজেপির অভিযোগ, গত শনিবার রাতে যখন উজ্জ্বল পোড়েল নামে এক বিজেপি কর্মী মুদিখানা দোকান থেকে বাড়ি ফিরছিলেন সেই সময় বিজেপি করার অপরাধে তাকে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা মারধর করে। বিজেপি কর্মীরা প্রতিবাদ করতে গেলে দুই পক্ষের মারামারি বেধে যায়। বিজেপি কর্মীদের বেশ কয়েকটা বাড়িতে রাতের অন্ধকারে ভাংচুর চালানো হয়। অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অভিযোগ করে বলা হয়েছে শনিবার রাতে চান্ডুল গ্রামে দলীয় কার্যালয় থেকে ফেরার পথে বিজেপি কর্মীরা তাদের উপরে লাঠি রড নিয়ে চড়াও হয়। চারজন তৃণমূল কর্মী গুরুতর আহত হয়ে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভরতি হয়।
ঘটনার খবর পেয়ে চান্ডুল গ্রামে যায় বর্ধমান থানার পুলিশ। পুলিশ ১৬ জনকে গ্রেফতার করেছে।
গ্রাম পরিদর্শনের পরে তৃণমূল বিধায়ক নিশীথ মালিক বলেন, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই গ্রামবাসীদের উপরে হামলা চালিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থকদের বেশ কয়েকটা বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। আমরা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের যাতে ক্ষতিপূরণ দেওয়া যায় সেই চেষ্টা করছি আমরা।
যদিও আক্রান্ত বেশ কিছু গ্রামবাসীদের দাবি তারা বিজেপির সমর্থক হওয়ায় তাদের বাড়িতে হামলা চালায় তৃণমূল। ফলে তারা রীতিমতো আতংকিত।