অমরজিৎ দে, ঝাড়গ্রাম, ২৭ মার্চ:
জমায়েত এড়াতে এবার জরুরি পরিষেবার দোকানগুলোর সামনে গণ্ডি কেটে দিল পুলিশ। যাতে কেউ পাশাপাশি না দাঁড়িয়ে দূরত্ব বজায় রেখে জিনিসপত্র কেনাকাটা করেন।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বিশ্বের পাশাপাশি ভাবাচ্ছে ভারতকেও। আর এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দেশজুড়ে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে লকডাউন থাকলেও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস তো সাধারণ মানুষকে কিনতেই হবে। সে কারণে লকডাউনের এই সময়সীমায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দোকানগুলিকে ছাড় দেওয়া হয়েছে। আর সেই সকল দোকানে জিনিসপত্র কেনার জন্য সাধারণ মানুষের উপচে পড়া ভিড়। আর এই জিনিসপত্র কেনার সময় কেউ সামাজিক দূরত্ব পালন করছেন, আবার কেউ কেউ করছেন না। তবে এবার তা আর হবে না। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য এবার সচেষ্ট ঝাড়গ্রাম জেলার পুলিশ।
লকডাউনের দিনে যখন প্রায় জনশূন্য ঝাড়গ্রাম জেলার বিভিন্ন জায়গা ঠিক তখন ঝাড়গ্রাম জেলার বেলপাহাড়ি, লালগড়, ঝাড়গ্রাম, সাঁকরাইল, জাম্বনি, বেলিয়াবেরা, গোপীবল্লভপুর, নয়াগ্রাম থানার পুলিশ পুলিশকর্মীরা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দোকানগুলির সামনে আসা মানুষজনদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য কোথাও চক দিয়ে কোথাও আবার চুন দিয়ে গন্ডি কেটে দিল। ঝাড়গ্রাম, বেলপাহাড়ি বাজার, লালগড়, শিমলা, বিনপুর, জামবনি, তপসিয়া, বেলিয়াবেড়া, গোপীবল্লভপুর, ছাতিনাশোল, খড়িকামাথানী, নয়াগ্রাম বাজার সর্বত্রই পদক্ষেপ নিতে দেখা গিয়েছে ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশকে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দোকানগুলির সামনে এই চক দিয়ে চিহ্নিত করার কাজ করা হয়েছে। এখন কেউ দোকানে জিনিসপত্র কিনতে এলে তাকে ওই চক দিয়ে চিহ্নিত করা গন্ডিতেই দাঁড়াতে হবে।দোকানদারদেরও এ বিষয়ে সতর্ক করে দেওয়া হয়, যেন ক্রেতারা এসে চকের বাইরে দাঁড়িয়ে একে অপরের গা ঘেঁষে না দাঁড়ায়।