কিশোরী খুনের ঘটনার দশদিন পরেও চার্জশিট দিতে পারলো না পুলিশ, অভিযুক্তদের জেল হেফাজত আদালতের

আমাদের ভারত, বালুরঘাট, ১৫ জানুয়ারি: কুমারগঞ্জে কিশোরী খুনের ঘটনার দশদিন পরেও চার্জশিট দিতে পারল না পুলিশ। ক্ষোভের সঞ্চার দক্ষিণ দিনাজপুরে। পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভে ফুঁসছেন মৃত কিশোরীর পরিবারও। অভিযুক্তদের তিন দিনের জেল হেফাজত দিল বালুরঘাট জেলা আদালত।

রিমান্ড শেষের এক দিন আগেই মূল অভিযুক্ত সহ তিন জনকে আদালতে পেশ করল কুমারগঞ্জ থানার পুলিশ। সাত দিনে চার্জশিট জমার আশ্বাসের পরেও এদিন অভিযুক্তদের বিনা চার্জশিটেই আদালতে পেশ করেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পুলিশ। আর যাকে ঘিরে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে জেলাজুড়ে। বুধবার বালুরঘাট জেলা আদালতের ফার্স্টট্রাক কোর্টের বিচারক দুলাল কর অভিযুক্তদের তিন দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। যদিও এদিন নিজেদের আত্মপক্ষ সমর্থনের আইনজীবী দেবার ক্ষমতা নেই বলে আদালতে স্বীকার করেছে অভিযুক্তরা। যার পরেই বিচারক জেলা আইনী পরিষেবা’ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন অভিযুক্তদের হয়ে আইনজীবীর ব্যবস্থা করবার। আগামী ১৭ জানুয়ারি তাদের পুনরায় বালুরঘাট জেলা আদালতে পেশ করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

বালুরঘাট জেলা আদালতের সরকারি আইনজীবী ঋতব্রত চক্রবর্তি জানিয়েছেন, তিন অভিযুক্তকে এদিন আদালতে পেশ করে কুমারগঞ্জ থানার পুলিশ। ধৃতদের তিন দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। আগামী ১৭ তারিখে তাদের পুনরায় আদালতে তোলা হবে। একই সাথে অভিযুক্তদের আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য আইনজীবী জোগাড় করতে জেলা আইনী পরিষেবা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

৬ই জানুয়ারি সকালে কুমারগঞ্জ ব্লকের সাফানগরের বেলখোর পাকুরতলা এলাকায় কালভার্টের নিচ থেকে থেকে উদ্ধার হয় কিশোরীর মৃতদেহ। প্রকাশ্যে আসে গণধর্ষণের পর গলার নলি কেটে খুন করে পেট্রোল ঢেলে পোড়ানোর ঘটনা। দোষীদের ফাঁসির সাজার দাবি জানিয়ে পথসভা থেকে শুরু করে বিক্ষোভ অবরোধ চলে জেলায়। প্রথমে এই মামলায় গণধর্ষণ, খুন ও প্রমাণ লোপাটের ধারায় মামলা করলেও পরবর্তীতে জাতি আয়োগের কড়া নির্দেশের পরে পুলিশ তৎপর হয়ে ওই মামলায় এসসি.এসটি ধারা যুক্ত করে। শুধু তাই নয় দুই দফায় তদন্তকারী অফিসার সঞ্জয় মুখার্জি এবং সুকুমার মিশ্রকে সরিয়ে ওই তদন্তের দায়িত্ব দেয় ডিএসপি (ডিইবি) বিনোদ ছেত্রীকে। তার পরেও এই মামলায় চার্জশিট জমা না করেই অভিযুক্তদের আদালতে পেশ করা নিয়ে পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন উঠেছে। জেলা পুলিশ সুপারের বার বার আশ্বাসের পরেও কেন সাতদিনে চার্জশিট জমা করতে পারল না পুলিশ তা নিয়ে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে জেলাজুড়ে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *