আমাদের ভারত, মালদা ৮ জানুয়ারি: বুধবারের ধর্মঘটকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে উঠল মালদা কালিয়াচক থানার সুজাপুর। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে বনধ সমর্থকদের তুলতে গেলে পুলিশের সঙ্গে তাদের খণ্ডযুদ্ধ হয় ইটের ঘায়ে এক পুলিশ কর্মী আহত হন। এরপর বনধ সমর্থনকারীরা পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ পাল্টা লাঠি চালায় টিয়ার গ্যাস ছোড়ে এবং শুন্যে কয়েক রাউন্ড গুলিও ছোড়ে। তবে, বনধ সমর্থকদের দাবি, পুলিশ নিজেই আগুন লাগিয়েছে।
সুজাপুর বরাবরই কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি। আজ সকাল থেকে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে বনধ সমর্থনকরা। ঘটনাস্থলে কালিয়াচক থানার পুলিশ গেলে পুলিশের সাথে অবরোধকারীদের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। সেই সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে চলে ব্যাপক বৃষ্টি। ইটের আঘাতে এক পুলিশকর্মীর মাথা ফেটে যায়।
এরপরেই ব্যাপক লাঠিচার্জ করে পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারগ্যাস ও শূন্যে গুলি ছুড়তে হয় পুলিশকে। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক। এরপর মালদা শহর থেকে বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়।
এছাড়া জেলার জুড়ে বনধে যথেষ্ট সাড়া পড়েছে। মালদা শহরে বনধ সমর্থনকারীরা উত্তরবঙ্গ পরিবহন সংস্থার একটি বাস ভাঙ্গচুর করে। মালদা শহরের দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন মার্কেটে জোর করে দোকান বন্ধ করার সময় পুলিশ বেশ কয়েকজন সিপিএম সমর্থকে গ্রেফতার করে। সরকারি বাস সকাল থেকে চললেও বেসরকারি যানবাহন অনেক কম ছিল। গাজোলে পুলিশের সাথে বচসায় জড়িয়ে পড়ে বনধ সমর্থনকারীরা। পুলিশের সাথে ধাক্কাধাক্কি হয় তাদের।
সুজাপুরে গাড়িতে আগুন ধরানো এবং ভাঙ্গচুরের ঘটনায় বনধ সমর্থকদের দাবি, তাঁরা আগুন ধরায়নি, পুলিশকর্মীরা নিজেই গাড়ি ভাঙ্গচুর করে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। এ ব্যাপারে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে বনধ সমর্থনকারীদের বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে একটি ভিডিও ভাইরাল করা হয় সোস্যাল মিডিয়ায়। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে এক পুলিশ কর্মী গাড়ির কাচ ভাঙ্গছেন।
এব্যাপারে পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, আমি ওটা দেখেছি। যদি কোনও আনপ্রফেশনাল কন্ডাক্ট হয় তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। হয়তো রেগে গিয়ে নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারেনি। আমরা ব্যবস্থা নেব।