আমাদের ভারত, ২৭ জুলাই: অনলাইন গেমের ফাঁদে হিন্দু তরুণ- তরুণীদের মগজ ধোলাই করে ধর্মান্তকরণের চক্র চলছিল অগ্রায়। দীর্ঘদিন আব্দুর রহমান নামে এক ব্যক্তি এই চক্র চালাচ্ছে। ঘটনার তদন্তে নেমে ২৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অপরাধ চক্রের তদন্তে পাকিস্তানের যোগ রয়েছে বলে জানিয়েছে তদন্তকারীরা।
কানাডা, ইংল্যান্ড, ফিলিপিন, সহ মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলি এই সিন্ডিকেটকে অর্থের যোগান দিত। গত সপ্তাহে আগ্রা থেকে নিখোঁজ হয়েছিলেন দুই হিন্দু তরুণী। সেই মামলার তদন্তে নেমে তাদের সোশ্যাল মিডিয়ায় চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পায় পুলিশ। সেই সূত্র ধরে সামনে আসে ধর্মান্তকরণের চক্র। বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় ২৫ জনকে।
এই চক্রের সঙ্গে ভারতের নিষিদ্ধ সংগঠন পিএফআই ও পাকিস্তানের আইএসআইয়ের যোগ পাওয়া গিয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে এই ঘটনার মূল চক্রি আব্দুল রহমানের দুই ছেলেকে। তার বাড়ি থেকে এক তরুণীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি জানান, তাকে জোর করে ধর্মান্তকরণ করে বিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
আগ্রার পুলিশ কমিশনার দীপক কুমার বলেন, অনলাইনে গেম খেলার ছলে তরুণ- তরুণীদের সঙ্গে আলাপ জমাতো ধর্মান্তকরণ গ্যাং- এর সদস্যরা। তারপরে চলত মগজ ধোলাই। পাকিস্তানের হ্যান্ডেলাররাও ডার্ক ওয়েবের মাধ্যমে এই মগজ ধোলাইয়ে যোগ দিত। এই চক্রের সঙ্গে পাকিস্তানের তানভির আহমেদ ও সাহিল নাদিম নামে দুই হ্যান্ডেলারের যোগসূত্র খুঁজে পেয়েছে পুলিশ। শুধু তাই নয়, ধর্মান্তকরণ চক্র চালাতে রীতিমতো স্লিপার সেল গঠন করা হয়। কাশ্মীরের একজন মহিলা জুম লিংক- এর মাধ্যমে এই হিন্দু মেয়েদের ইসলামের পাঠ দিত। নমাজ পড়ার পদ্ধতি শেখাত। এভাবে শতাধিক তরুণীকে এরা ধর্মান্তরিত করেছে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
পুলিশের দাবি, পুরো দলটি বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত ছিল। একদল টার্গেট খুঁজত। তাদের ব্রেন ওয়াশ করত, আর অন্য আরেকটি দল তাদের শেখাত ইসলাম ধর্ম ও তার রীতি নীতি। গোটা চক্র চালানোর টাকা তো বিদেশ থেকে ক্রিপ্টো কারেন্টের মাধ্যমে আসত।