আমাদের ভারত, ৫ জানুয়ারি:
সীমান্তবর্তী জেলায় রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ নিয়ে বরাবরই সরব বিজেপি। আজ সন্দেশখালিতে ইডি আধিকারিক ও সংবাদমাধ্যমের উপর শাহজাহান শেখের অনুগামীদের হামলার ঘটনায় রোহিঙ্গা যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর দাবি, দেশবিরোধী কাজ চলছে পশ্চিমবঙ্গে। আর সন্দেশখালির
ঘটনা তারই প্রমাণ বলে দাবি তাঁর। তাঁর কথায়, আজ যে ঘটনা ঘটেছে তা জাতীয় সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।
সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার উপর যেভাবে হামলা চালানো হয়েছে সেটা জাতীয় সুরক্ষার ক্ষেত্রে উদ্বেগজনক। রাজ্যের শাসকদলের আড়ালে আসলে দেশবিরোধীকাজ চলছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। তাঁর দাবি, পরিকল্পনা করেই সেখানে হামলা চালানো হয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে তিনি লিখেছেন, সন্দেশখালিতে প্রশিক্ষিত রোহিঙ্গা গুন্ডাদের ব্যবহার করে ইডি কর্মকর্তাদের উপর পরিকল্পিত হামলার গভীর নিন্দা জানাই। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, এই ঘটনা কি ইঙ্গিত দেয় না, যে তৃণমূল কংগ্রেস বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনকে সমর্থন করেছে?”
সুকান্ত মজুমদারের দাবি, তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শাহজাহান শেখ রোহিঙ্গাদের সেখানে বসিয়ে দেশবিরোধী কার্যকলাপ চালাচ্ছে। বাংলায় যে দেশবিরোধী কাজ চলছে সেটা স্পষ্ট হয়ে গেছে এই ঘটনায়। অবিলম্বে এখানে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি জানিয়ে এবং কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সুকান্ত মজুমদার।
বিজেপি নেতা বলেন, “এদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। ফলে খুব স্বাভাবিকভাবেই এদের বিরুদ্ধে ইডির তদন্ত হবে। তার মধ্যে কোনো অস্বাভাবিকতা নেই। কিন্তু আজ সন্দেশখালিতে শাহজাহান শেখের ওখানে যেভাবে ইডির আধিকারিক এবং সংবাদ মাধ্যমের ওপর হামলা হয়েছে তাতে স্পষ্ট হয়ে গেছে, রোহিঙ্গা মুসলিম বাংলায় ঢুকে বাংলার আইন-শৃংখলার কী অবস্থা তৈরি করেছে। আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, এটা আজ ইডির সাথে হয়েছে,আগামী দিনে বাঙালির ভবিষ্যতেও এরকমই হবে। বাঙালির সঙ্গেও এমনটাই ঘটবে। তাঁর দাবি, এই সরকার যদি থাকে তাহলে খুব দ্রুত গতিতে এই ধরনের ঘটনা একের পর এক ঘটতেই থাকবে, কারণ সরকার কিছুই করবে না।
সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপি রাজ্য সভাপতি প্রশ্নের সুরে আরও লিখেছেন, পশ্চিমবঙ্গের গণতন্ত্রের মৃত্যু ঘন্টা শুনতে পাচ্ছেন ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী? অভিযোগের সুরে তিনি লিখেছেন, “এতদিন আপনার দুষ্কৃতি বাহিনীর নির্যাতনে শুধু বাংলা সাধারণ জনগণ অসহায় ছিলেন। কিন্তু আজ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে রোহিঙ্গাদের হাতে নিগৃহীত হতে হলো এর পরেও কি লজ্জা হবে না আপনার?”
https://x.com/DrSukantaBJP/status/1743133685996822860?t=V4Od1Q3S9CWGSPUm-T_vfw&s=08

