পিসি ভাইপোর কোম্পানিকে উপড়ে ফেলতে হবে: শুভেন্দু অধিকারী

আমাদের ভারত, ব্যারাকপুর, ১০ ফেব্রুয়ারি: উত্তর ২৪ পরগনার নোয়াপাড়া বিধানসভার অন্তর্গত গারুলিয়া পৌরসভার সামনে সাংসদ অর্জুন সিং, তৃণমূলের দলত্যাগী বিধায়ক সুনীল সিংকে পাশে বসিয়ে জনসভা করে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের সমালোচনায় মুখর হলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু অধিকারী বুধবার রাতে গারুলিয়া পৌরসভার সামনে জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের দুর্নীতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না করে শুভেন্দু বলেন, “উনি এখন উন্নততর তৃণমূলের কথা বলছেন। উন্নততর তৃণমূল মানে কি? অনলাইনে কাটমানি নেওয়া। উন্নততর তৃণমূলের মডেল কি এই তোলাবাজ ভাইপো? আমি তো ওর নাম বলিনি, তোলাবাজ ভাইপো বলছি, তাতেই কি রাগ? কাঁপুনি দিয়ে মাইক হাতে মঞ্চের এদিক থেকে ওদিক ছুটে বেড়াচ্ছেন। এত রাগের কি আছে? এত বড় বড় কথা বলেন, কই বিনয় মিশ্র নিয়ে তো কোনও প্রশ্নের উত্তর দেয় না?

এরা বলে উন্নয়নের কথা, এই তো পলতা থেকে গারুলিয়া পর্যন্ত আসতে গিয়ে রাস্তার কি সুন্দর উন্নয়ন দেখলাম। একেবারে মা মাটি মানুষের সরকারের আদর্শ মডেল। এই সরকার কৃষি, শিল্প, সংস্কৃতি সবেতেই ব্যর্থ। তাই এই সভা থেকে বলতে চাই, এই পিসি ভাইপোর কোম্পানিকে উপড়ে ফেলে গোটা বাংলায় পদ্ম ফোটাতে হবে।”

এদিন শুভেন্দু অধিকারী নোয়াপাড়া বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত পলতা থেকে গারুলিয়া পৌরসভা পর্যন্ত মিছিল করেন। মিছিলে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং, বিজেপি নেতা বিশ্বপ্রিয় চৌধুরী, নোয়াপাড়ার বিধায়ক সুনীল সিং, বিজেপি নেতা গৌতম বসু, সন্দীপ বন্দোপাধ্যায় সহ অন্যান্যরা।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নন্দীগ্রামে ভোটে দাঁড়ানোর ঘোষণাকেও সমালোচনা করেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “নন্দীগ্রামে গিয়ে উনি বলেছেন ওই কেন্দ্র থেকে লড়বেন, পরে ভেবেছেন ভোটের ফল খারাপ হবে, তখন আবার বললেন ভবানীপুর থেকেও দাঁড়াবেন। উনি নন্দীগ্রামকে বড় বোন, ভবানীপুরকে মেজ বোন বললেন। এরপর রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডোমজুর কেন্দ্রে যাবেন, সেখানেও দাঁড়ানোর কথা বলে সেজ বোন বলবেন ওই কেন্দ্রকে, হুগলির উত্তর পাড়ায় প্রবীর ঘোষাল যে কেন্দ্রের বিধায়ক, সেখানে গিয়ে বলবেন ছোট বোন। সব বোনদের লাইন লাগিয়ে দেবেন। কিন্তু কোন লাভ নেই। বাংলার মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন, এবার বাংলায় বিজেপি সরকার গঠন হবে ২০০ র বেশি আসন নিয়ে। উনি বলছেন, সব কাজ করে দিয়েছেন, দেড় কোটি বেকারের চাকরি দিয়েছেন। সব কাজ যদি করেই দেন, তবে সরকারকে দুয়ারে নিয়ে যেতে হবে কেন? হ্যাঁ কিছু সিভিক ভলান্টিয়ারদের কাজ হয়েছে, মাসে ৮ হজার টাকা করে দেয়। তাতে কিছুই হয় না ওদের। আমরা যে বাংলা গড়ব, তা হবে সোনার বাংলা। মোদীজির নেতৃত্বে কেন্দ্রে ও রাজ্যে একই সরকার চলবে। বাংলার সার্বিক বিকাশ ঘটবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *